আলিপুরদুয়ার, 3 সেপ্টেম্বর : অসম-বাংলা সীমান্তের জঙ্গলে ধারাবাহিক অভিযান বন বিভাগের । উদ্ধার বিপুল পরিমাণ চোরাই কাঠ । টানা ১২ ঘণ্টার অপারেশন শেষে বেশ কয়েকটি ট্রাক্টর বোঝাই করে উদ্ধার হওয়া কাঠ সংলগ্ন রেঞ্জ অফিসগুলিতে নিয়ে আসা হয়েছে । উদ্ধার হওয়া কাঠের বাজার মূল্য কত তা এখনও জানা যয়ানি । গত পাঁচ বছরে বক্সার জঙ্গলে কাঠমাফিয়াদের বিরুদ্ধে এটাই সবচেয়ে বড় অভিযান বলে মনে করছেন বনকর্তারা ।
অসম-বাংলা সীমান্তে আন্তঃরাজ্য কাঠমাফিয়াদের দৌলতে গড়ের মাঠে পরিণত হচ্ছিল বক্সার সবুজ বনাঞ্চল । দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ ছিল এক শ্রেণির নিচু তলার বনকর্মীদের মদতে চুপিসারে চলছিল গাছ কেটে কাঠ পাচারের ব্যবসা । কাঠমাফিয়াদের ধরতে গতকাল সকালে বনবিভাগের কর্মীরা অভিযান শুরু করে । টানা 12 ঘণ্টা অভিযান চলে অসম- বাংলা সীমান্তের কুমারগ্রাম ব্লকের সঙ্কোশ চা বাগান,চৌধুরিঘাট,জলদাপাড়া ঘাট,সঙ্কোশ বনবস্তী এলাকায় অভিযান চলে । কুমারগ্রাম, হাতিপোতা, নর্থ রায়ডাক, ভল্কা- সহ মোট ছ'টি রেঞ্জের ছ'জন রেঞ্জ অফিসার-সহ ১২ জন অফিসার অভিযানে ছিলেন । পুলিসের একটি দল উপস্থিত ছিল । ছিল এসএসবি । শেষে বেশ কয়েকটি ট্রাক্টর বোঝাই করে উদ্ধার হয় কাঠ ।
এবিষয়ে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা (পূর্ব) পি. হরিশ বলেন, "জঙ্গলের কাঠ কেটে মূল্যবান কাঠের গুড়ি সংকোশ নদীর জলে ভাসিয়ে অসমের দিক থেকে বাংলার দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে । নদীর দু'দিকেই দিনে রাতে নজর রাখে দুষ্কৃতীরা । একইভাবে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অসম- বাংলা সীমান্ত এলাকায় গভীর জঙ্গলেও কাঠ মাফিয়ারা সক্রিয় রয়েছে । স্বাভাবিকভাবেই আমরা উত্তর রায়ডাক ও কুমারগ্রাম রেঞ্জ এলাকায় একজন ADFO পদমর্যাদার আধিকারিক আপাতত স্থায়ীভাবে রাখছি । বিশেষ প্যাট্রলিংয়ের জন্য দু'টি গাড়ি থাকছে । প্রচুর অবৈধভাবে কাটা,সংগ্রহ করা বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান কাঠ উদ্ধার হয়েছে । অভিযান এখন চলবে ।"