আলিপুরদুয়ার, 18 নভেম্বর: তিন মাস হাসপাতালে চিকিৎসার হওয়ার পর মূমূর্ষ তিন শিশুর প্রাণ ফিরিয়ে পরিবারের হাতে তুলে দিল আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল (Alipurduar District Hospital) । আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের এসএনসিইউ (Special Newborn Care Unit) বিভাগের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের পরিষেবায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরল ওই তিন শিশু (Three Immature And Sick Babies Become Fit After Treatment)।
বৃহস্পতিবার নিজেদের সুস্থ শিশুদের নিয়ে হাসি মুখে বাড়ি ফিরলেন অনামিকা, প্রেমিকা ও হিরামতি । জানা গিয়েছে, প্রায় তিন মাস আগে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে তিনটি অপরিণত শিশুর জন্ম দেন অনামিকা রায়, প্রেমিকা ওরাও এবং হিরামতি খারিয়া । আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটে (Special Newborn Care Unit) তাঁদের চিকিৎসা শুরু হয় । কিন্তু সেই সময় তাঁদের শিশুরা অপুষ্টি, হার্টের সমস্যা ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতার অভাব নিয়ে জন্ম নেয় ৷ ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ে ।
আরও পড়ুন:এক যকৃৎ দুই প্রাণ, এনআরএসে বিরল অস্ত্রোপচারে আলাদা হল যমজ শিশু
জন্মের পর থেকেই শিশুদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় । এরপর প্রায় তাদের ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়ে দেয় ওই শিশুদের পরিবার । কেউ কেউ শিশুদের জেলা হাসপাতালে রেখে বাড়িও ফিরে যান । কারণ আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই, ফলে কী করে ওই শিশুদের উন্নত চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করবেন ওই দিনমজুর পরিবারগুলি ৷ অসহায় বোধ করেন তাঁরা । এই অবস্থায় অসুস্থ শিশুদের প্রাণ বাঁচানো চিকিৎসকদের কাছে আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে । কোনওমতে ওই শিশুর মায়েদের বুঝিয়ে ফের হাসপাতালে নিয়ে আসেন শিশু বিভাগের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ।
তিন শিশুর প্রাণ বাঁচাল আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের সুপার জানান, প্রায় তিন মাস ধরে জেলা হাসপাতালের এসএনসিএই বিভাগে শিশুদের চিকিৎসা করানো হয়েছে ৷ শিশু তিনটের ওজন খুবই কম ছিল ৷ নার্সিং স্টাফ ও চিকিৎসকদের অক্লান্ত সেবা ও পরিশ্রমে তিনটি শিশুকে সুস্থ করে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । আগামীতেও প্রতিটি শিশুকে নজরদারিতে রাখা হবে ৷
আরও পড়ুন:জটিল অস্ত্রোপচারে জন্ম হল 'কনজয়েন্ট টুইন বেবি'র