আলিপুরদুয়ার,7 এপ্রিল :কোরোনার জেরে রুটিরুজিতে টান। পেটের রসদ জোগাতে এবার জঙ্গলের উপর ভরষা করতে হচ্ছে বনবস্তিবাসীর।কোরোনাভাইরাসের সংক্রমণের জেরে লকডাউন গোটা দেশ জুড়ে। তার প্রভাব পড়েছে ডুয়ার্সের জঙ্গল মহলেও। ডুয়ার্সের জঙ্গলমহলের প্রচুর মানুষ চা বাগানের উপর নির্ভরশীল। কোরোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনের জেরে বন্ধ চা বাগান। চা বাগান বন্ধ থাকায় রুটিরুজিতে হাহাকার দেখা দিয়েছে চা বাগান ও বনবস্তি মহল্লায়। সরকারি অনুদান যা মিলছে তা যথেষ্ট নয়। তাছাড়াও সরকারি অনুদানে চাল,গম আটা পাওয়া গেলেও তেল, মশলা,শাক, সবজি পাচ্ছেন না বনবস্তির কয়েক হাজার মানুষ।
পেটের দায়ে প্রকাশ্যেই চলছে জঙ্গল ধ্বংসের কাজ
কোরোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনের জেরে বন্ধ চা বাগান। চা বাগান বন্ধ থাকায় রুটিরুজিতে হাহাকার দেখা দিয়েছে চা বাগান ও বনবস্তি মহল্লায়। সরকারি অনুদান যা মিলছে তা যথেষ্ট নয়।কোরোনা সংক্রমণের ভয়ে জঙ্গলের নজরদারি অনেকটাই ঢিলেঢালা। এই ঢিলেঢালা পাহারার সুযোগকে সফট টার্গেট করেছেন বনবস্তির একাংশ। পেটের তাড়না মেটাতে প্রকাশ্যেই চলছে জঙ্গল ধ্বংসের কাজ।
বাগান বন্ধের জেরে হাতে কানাকড়ি নেই দুই মহল্লার মানুষের হাতে। অন্যদিকে কোরোনা সংক্রমণের ভয়ে জঙ্গলের নজরদারি অনেকটাই ঢিলেঢালা। বনদপ্তরের এই ঢিলেঢালা পাহারার সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন বনবস্তির একাংশ। পেটের তাড়না মেটাতে প্রকাশ্যেই চলছে জঙ্গল ধ্বংসের কাজ। বক্সা বাঘবন থেকে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান সব জঙ্গলেই এক চিত্র।জঙ্গল থেকে কার্যত বিনাবাধায় অবাধে চলছে জঙ্গলের কাঠচুরি। এক শ্রেণির কাঠমাফিয়াদের মদতে বস্তিবাসীরাই জঙ্গল থেকে কাঠ কেটে সেই কাঠ নিরাপদে পৌছে দিচ্ছেন নির্দিষ্ট ডেরায়।
মাফিয়াদের ডেরায় জঙ্গলের গাছ পৌছে দিতে পারলেই মিলে যাচ্ছে নগদ টাকা। তাই দিয়েই চলছে লকডাউনে জীবনধারণে বেঁচে থাকার পথ।একাধিক প্রকৃতি প্রেমিক সংগঠনের তরফে জঙ্গলে নজরদারি বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়েছে বনদফতরের কাছে।
আলিপুরদুয়ারে একটি প্রকৃতিপ্রেমি সংগঠনের কো অর্ডিনেটর বাবুল গাঙ্গুলি জানান লকডাউনের মাঝেও জঙ্গলে নজরদারি চালানো উচিৎ। না হলে জঙ্গল ধ্বংস হতে বেশি সময় লাগবেনা।জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের DFO কুমার বিমল জানান, জলদাপাড়ার জঙ্গলে নজরদারি চলছে। কিছু কিছু জায়গায় কর্মীর সংখ্যা কম আছে। তবে নজরদারি চলছে।