রাজাভাতখাওয়া, 17 ডিসেম্বর : রাজাভাতখাওয়ার শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে একসঙ্গে ছয়টি শকুনকে প্রকৃতিতে ছাড়ল বন বিভাগ । ভারতে এই প্রথমবার প্রজননকেন্দ্র থেকে প্রকৃতিতে শকুন ছাড়া হল ৷ আজ সকালে বক্সা টাইগার রিজার্ভের রাজাভাতখাওয়ার 22 মাইল টাওয়ার সংলগ্ন এলাকা থেকে ছাড়া হয় শকুনগুলিকে ৷ এসেগুলিই হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির ৷
রাজাভাতখাওয়া প্রজনন কেন্দ্র থেকে ছয়টি শকুন পরিবেশে ছাড়া হল - Vulture
প্রথম ধাপেই স্লেনডার ব্লিল্ড ,হোয়াইট ব্যাকড অথবা লং ব্লিল্ডের মতো একেবারে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির শকুন ছাড়ার ঝুঁকি নিতে চাইছে না বনদপ্তর । রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্রের অধিকর্তা সচিন রানাডে বলেছেন, "এই তিন প্রজাতির শকুনদের থেকে হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির শকুন অনেক বেশি কষ্টসহিষ্ণু । তাই প্রথম ধাপে হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির শকুন পরিবেশে ছাড়া হল ।" বন বিভাগের তরফে আরও জানানো হয়েছে, আজকের ওই ছয়টি শকুনের মধ্যে দু'টি শকুনের দেহে রেডিও কলার ডিভাইস ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে তাদের উপর নজরদারি করা যায় ।
প্রথম ধাপেই স্লেনডার ব্লিল্ড ,হোয়াইট ব্যাকড অথবা লং ব্লিল্ডের মতো একেবারে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির শকুন ছাড়ার ঝুঁকি নিতে চাইছে না বনদপ্তর । রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্রের অধিকর্তা সচিন রানাডে বলেছেন, "এই তিন প্রজাতির শকুনদের থেকে হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির শকুন অনেক বেশি কষ্টসহিষ্ণু । তাই প্রথম ধাপে হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির শকুন পরিবেশে ছাড়া হল ।" বন বিভাগের তরফে আরও জানানো হয়েছে, আজকের ওই ছয়টি শকুনের মধ্যে দু'টি শকুনের দেহে রেডিও কলার ডিভাইস ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে তাদের উপর নজরদারি করা যায় ।
2005-06 সালে তৈরি হয় দেশের দ্বিতীয় শকুন প্রজনন কেন্দ্র । এই কেন্দ্রে স্লেনডার ব্লিল্ড ,হোয়াইট ব্যাকড, লং ব্লিল্ড ,এবং হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির শকুনের কৃত্রিম প্রজনন শুরু হয় । বর্তমানে এই প্রজনন কেন্দ্রে প্রায় 130টি শকুন রয়েছে । বন বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, গবাদিপশুর দেহে ব্যথা উপশমের জন্য ব্যবহৃত ডাইক্লোফেনাক ব্যবহার পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়েছে কি না তা নিয়ে নিশ্চত হতে না পেরেই বাকি প্রজাতির শকুনগুলিকে পরিবেশে ছাড়া হয়নি । উল্লেখ্য, ওই ওষুধের জন্য মৃত গবাদি পশুর মাংশ খেয়ে প্রায় বিলুপ্তির পথে শকুন । কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক ভারতের প্রতিবেশী দেশ নেপাল,ভুটান ও বাংলাদেশেও ডাইক্লোফেনাক বন্ধ করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছে বন দপ্তর । মুক্ত পরিবেশে শকুনগুলিকে ছাড়ার আগে পরানো হয়েছে স্যাটেলাইট নির্ভর রেডিও কলার । এই রেডিও কলারগুলি অ্যামেরিকা থেকে আনা হয়েছে ।