আলিপুরদুয়ার, 3 জুলাই : জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে এক শৃঙ্গ গন্ডার শিকার ও খড়গ পাচারের দায়ে ছ'জনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত । আজ আলিপুরদুয়ার ACJM 1 আদালতের বিচারক এই রায় দেয় ।
2018 সালের 6 ফেব্রুয়ারি জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের কোদালবন্তী রেঞ্জের জঙ্গলে একটি পূর্ণবয়স্ক গন্ডারকে মারে চোরাশিকারীরা । এর মাস্টার মাইন্ড ছিল মনিপুরের কুখ্যাত চোরাশিকারী মার্ত রিবা । গন্ডার শিকারে তাকে সাহায্য করেছিল কোদালবস্তীর বাসিন্দা রাজু রাভা, রূপেশ রাভা, রাজীব রাভা, শিলিগুড়ির রাজু লামা ও বানারহাটের সেবক কামি ।
ঘটনার পরদিন মৃত গন্ডারের শৃঙ্গ পাচারে সাহায্য করেছিল শালকুমারের বিমল কার্জি ও মাদারিহাটের গোপাল সিং । চিন থেকে আমদানি করা বিষাক্ত রাসায়নিক ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জে ভরে গুলতি দিয়ে তাক করে গন্ডারটিকে মেরেছিল চোরাশিকারীরা ।
গন্ডার শিকারের তদন্তে নেমে জলদাপাড়া বনবিভাগের কর্মীরা 2018 সালের 7 ফেব্রুয়াররি শৃঙ্গ সহ আট অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে । অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে মামলা রুজু করা হয় । পেশ করা হয় আলিপুরদুয়ার ACJM 1 আদালতে ।
এই ছ'জনকে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত বুধবার ওই মামলার চুড়ান্ত রায় দেন বিচারক । প্রথমে ছ'জনকে সরাসরিভাবে গন্ডার হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ছ'মাসের অতিরিক্ত কারাবাসের নির্দেশ দেন বিচারক । বাকি দু'জনকে পাচারে সাহায্য করার অভিযোগে তিন বছরের কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় আদালত ।
এই মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী দুলাল ঘোষ বলেন, "আমরা আদালতের কাছে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ সাজা ও সাত বছরের কারাদণ্ডের আর্জি করেছিলাম । সেখানে বিচারক প্রথম ছ'জনকে পাঁচ বছর ও বাকি দু'জনকে তিন বছরের কারাবাসের আদেশ দিয়েছেন । মামলা শুরু হওয়ার মাত্র এক বছর পাঁচ মাসের মধ্যে আদালত চূড়ান্ত রায় দেওয়ায় আমরা কৃতজ্ঞ।"
জলদাপাড়া বনবিভাগের DFO কুমার বিমল বলেন, "এই রায়ের পর অপরাধীরা চোরাশিকারের আগে দশবার ভাববে এবং বন দপ্তরকেও সমঝে চলবে ।"