আলিপুরদুয়ার, 23 জুলাই : ছেলেধরা সন্দেহে একই দিনে পৃথক জায়গায় মার খেলেন এক ব্যক্তি । গতকাল প্রথমে আলিপুরদুয়ার স্টেশনে ও পরে দলগাঁও বীরপাড়া স্টেশনে তাঁকে গণপিটুনি দেয় উত্তেজিত জনতা । আক্রান্ত ব্যক্তি বিহারের বাসিন্দা । নাম কার্তিক বাশফোড় ।
আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ খবর পেয়ে প্রথমে আলিপুরদুয়ার স্টেশনে চত্বরে পৌঁছায় । সেখান থেকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে পুলিশ স্বপু্ত্র কার্তিক বাশফোড়কে উদ্ধার করে এবং হাসাপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায় । পরে পুলিশ তাঁদের ট্রেনে তুলে দিলেও দলগাঁও বীরপাড়া স্টেশনে একই ঘটনা ঘটে কার্তিকের সঙ্গে । সেখানেও উত্তেজিত জনতা তাঁকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দেয় । এই ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ তাঁর ছেলে ।
গতকাল বিহার যাওয়ার পথে আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনে ভুলবশত ছেলেকে নিয়ে নেমে পড়েন কার্তিক বাশফোড় । জংশন সংলগ্ন শালবাড়ি এলাকায় ছেলেকে নিয়ে ইতস্তত ভাবে ঘুরতে থাকেন । জনতার তা দেখে সন্দেহে হয় । এরপরই উত্তেজিত জনতা তাঁদের ধরে গণপিটুনি দিতে শুরু করে । পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছে কার্তিক ও তাঁর ছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায় । পিতা ও পুত্রের চিকিৎসার পর পুলিশ তাঁদের বিহারের উদ্দেশে ট্রেনে করে রওনা দেওয়ারও ব্যবস্থা করে দেয় । কিন্তু দলগাঁও বীরপাড়া স্টেশনে ট্রেন থামলে আবারও কার্তিক তাঁর ছেলেকে নিয়ে নিচে নামেন । সেখানে ছেলে কিছু জিনিসের জন্য বায়না করে । কিন্তু কার্তিক তাতে পাত্তা না দিয়ে হাত ধরে টেনে নিয়ে যায় । এই সময়ই স্থানীয়দের সন্দেহ হয় কার্তিককে দেখে । কিছু না জানতে চেয়েই তাঁকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দিতে শুরু করে ।
আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানান, গতকাল সকালে কার্তিক বাশফোড় ও তাঁর ছেলেকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করা হয় । তাঁর ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় কার্তিক তার বাবা । এরপর তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসা করে ট্রেনে তুলে দেওয়া হয় । কিন্তু দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটার আসল কারণ কী তা তদন্ত করার জন্য ঘটনাস্থানে বীরপাড়া থানার OC-কে পাঠানো হয়েছে । এই ঘটনার পর থেকে কার্তিকের ছেলে নিখোঁজ । তাঁর ছেলে কোথায় তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ।