আলিপুরদুয়ার, ১৬ ফেব্রুয়ারি : জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে গন্ডার শুমারি শুরু হয়েছে। শুমারি শুরুর প্রথম দিনেই ১১৩ টি গন্ডারের খোঁজ মিলেছে। ২০১৫ সালে শেষবার গন্ডার শুমারি হয়েছিল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে।
জলদাপাড়ায় গন্ডার শুমারিতে ব্যবহার হচ্ছে GPS প্রযুক্তি - gps
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে গন্ডার শুমারি শুরু হয়েছে। ব্যবহার হচ্ছে GPS।
এবছর বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও পরিবেশপ্রেমী সংস্থার সদস্য এবং বনকর্মী মিলিয়ে মোট ৩৮৪ জন শুমারিতে অংশগ্রহণ করেছেন। তাঁদের ৫৩ টি ছোটো দলে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। শুমারিতে GPS পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। গন্ডারের লিঙ্গ নির্ধারণের জন্য বিষ্ঠার DNA টেস্ট করা হবে। বন দপ্তরের আশা, ২০১৫ সালের তুলনায় এবছর গন্ডারের সংখ্যা বাড়বে। তাই গন্ডারের জন্য নতুন চারণভূমি হিসেবে জলদাপাড়ার জাতীয় উদ্যানের চিলাপাতা রেঞ্জকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।
নজর রাখা হচ্ছে এই চারণভূমি যাতে কোনওভাবেই চোরাশিকারিদের ঘাটিতে পরিণত না হয়। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে গন্ডার শিকারের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। প্রায় প্রতিটি ঘটনাতে মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, অসম বা মণিপুরের চোরাশিকারিদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে।