আলিপুরদুয়ার, 10 ডিসেম্বর: আদিবাসীরা যাতে সরকারি সুযোগ সুবিধে থেকে বঞ্চিত না হন, সে জন্য উদ্যোগী রাজ্য সরকার ৷ আলিপুরদুয়ারের সরকারি পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠানে সেই বার্তাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আদিবাসীদের শংসপত্র নিশ্চিত করার পাশাপাশি জাল শংসাপত্রের যে অভিযোগ উঠেছে, তা এ দিন মেনে নেন তিনি ৷ দ্রুত সেই সমস্যা নিরসনে সরকার সচেষ্ট বলে জানিয়েছেন মমতা ৷
রবিবার আলিপুরদুয়ারে সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন যে, পরিবারে কোনও একজনের আদিবাসী শংসাপত্র থাকলে, সেটা দুয়ারে সরকারে নিয়ে গিয়ে আবেদন করলেই পরিবারের সবাই আদিবাসী শংসাপত্র পাবেন এবং তাঁদের জন্য বরাদ্দ সব সরকারি সুযোগ সুবিধে পাবেন ৷ এ জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে মুখ্যসচিব ও জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ডে সরকারি অনুষ্ঠানে বলেন, "এখানে একটা সমস্যা আছে ট্রাইবাল মানুষদের । সেটা হল, তাঁদের সবার কাগজ নেই । ফলে তাঁদের সমস্যা হচ্ছে । বিভিন্ন প্রকল্প তাঁরা পাচ্ছেন না । দুয়ারে সরকার 15-30 ডিসেম্বর হবে । আদিবাসীদের যাঁদের জমির কাগজ নেই তাঁদের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। তাঁরা লক্ষ্মীর ভান্ডারও পাবেন । আমরা চেষ্টা করব সবাইকে কাগজ দেওয়ার । আপনারাও সহযোগিতা করুন । বাড়িতে একজনেরও যদি আদিবাসী শংসাপত্র থাকে, তাহলে তা নিয়ে আসুন, আমরা বাকিদেরও শংসাপত্র করে দেব ৷"
অনেকে ভুয়ো আদিবাসী শংসাপত্র করিয়ে প্রকৃত আদিবাসীদের জন্য প্রাপ্য সুযোগ সুবিধে নিজেরাই নিয়ে নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে ৷ সেই সমস্যা সমাধানে সরকার সচেষ্ট বলে এ দিন জানান মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, "অনেক ফেক সার্টিফিকেট হয়েছে আদিবাসীদের নামে । ট্রাইবালের নামে যাতে যথেচ্ছ ভাবে কাগজ না হয়, আমরা রিভিউ করে তা বাতিল করে দেব । আমাদের শ্রমিকরা ভালো থাকুক এটাই চাই ।" আদিবাসীদের এই সমস্যাগুলি যাতে দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া যায়, তাই দুয়ারে সরকারের পাশাপাশি তাঁদের জন্য বিশেষ শিবির আয়োজন করার কথা মুখ্যসচিবকে বলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷