আলিপুরদুয়ার, 4 এপ্রিল : লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে কোনওরকমে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী মজুত করেই দিন কাটছে মানুষজনের । কিন্তু খাদ্যরসিক বাঙালির কাছে এই লকডাউন আরও সমস্যার । একে কোরোনা আতঙ্ক । তারউপর অযথা বাইরে যাওয়া নিষেধ । না চায়ের দোকানে আড্ডা, না পাড়ার মোড়ে তাসের আড্ডা । আপাতত বন্ধ সমস্ত কিছু । এখন অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কয়েক ঘণ্টার জন্য মিষ্টি দোকান খোলা শুরু হয়েছে । কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না কেউ । এবার খানিকটা হলেও আলিপুরদুয়ারবাসীর মিষ্টির সাধ মেটাল এলাকার দুই যুবক । ছানার তৈরি হরেক মিষ্টির পসরা নিয়ে বাড়ির দরজায় হাজির হচ্ছেন তাঁরা । এই লকডাউনে বিকল্প কর্মসংস্থানও হয়েছে তাঁদের ।
রসগোল্লা, চমচম, গোলাপজাম, ল্যাংচা, রসমালাই, ক্ষীরদই, কাঁচাগোল্লা, জিলিপি সহ আরও নানারকম মিষ্টির পসরা সাজিয়ে আলিপুরদুয়ার শহরের বাড়ি বাড়ি হাজির হচ্ছেন কেশব ও রাজু । শহর সংলগ্ন 1 নম্বর ব্লকের ঘাগরায় বাড়ি রাজু ঘোষের । কেশব ঘোষের বাড়ি বাইরিগুড়িতে । লকডাউনের মাঝেই জমে উঠেছে দুই বন্ধুর এই নতুন ব্যবসা ।
এবিষয়ে রাজু ঘোষ বলেন, "লকডাউনের আগে রাতে বউবাজারে পনির বিক্রি করে সংসার চালাতাম। লকডাউনের পর থেকে বাজারে লোকজন আসে না। বড় বিপাকে পড়েছিলাম। পরিবারে আগে মিষ্টি তৈরির কাজ হত । তাই মিষ্টি বানাতে জানি। বন্ধু কেশবকে সেই কথা জানালাম। ও রাজি হয়ে গেল। তারপর দু'জনে মিলে শুরু করলাম মিষ্টির হোম ডেলিভারির ব্যাবসা।"