জলপাইগুড়ি, 17 ডিসেম্বর: হাসিমারা এয়ারবেস বা বিমানঘাঁটি ৷ উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে অবস্থিত ভারতীয় বায়ুসেনার এই বিমান ঘাঁটিটি অবস্থানগত ভাবে ও কৌশলগত ভাবেও দেশের নিরাপত্তার দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷ ভারত-চিন ও ভারত-ভুটান সীমান্তের কাছে অবস্থিত হওয়ায় এই এয়ারবেস বায়ুসেনার ইস্টার্ন কমান্ডের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Hasimara air force station) ৷ সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে ভারত-চিনের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা ফের মাথাচাড়া দিয়েছে ৷ চলতি মাসে এখানে চিনা সেনার অনুপ্রবেশের চেষ্টা বানচাল করে দিয়েছে ভারতীয় সেনা ৷ এই প্রেক্ষিতে চিনের মোকাবিলায় হাসিমারাকে যেকোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রাখতে চাইছে বায়ু সেনা (Hasimara Air Base) ৷
ফ্রান্সের থেকে যে 36টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনেছে ভারত তার সর্বশেষ অর্থাৎ 36তম যুদ্ধবিমানটি সম্প্রতি এখানে নিয়ে আসা হয়েছে ৷ বর্তমানে 18টি রাফাল যুদ্ধবিমানের 1 স্কোয়াড্রন রাখা হয়েছে হাসিমারা এয়ারবেসে ৷ বাকি 18টি রাফাল রাখা হয়েছে পঞ্জাবের আম্বালা এয়ারবেসে ৷ চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদের কথা মাথায় রেখে হাই-অ্যালার্টে রাখা হয়েছে এই বিমানঘাঁটিকে ৷ চলছে বিমান মহড়াও (hasimara air force station put on high alert) ৷
রাফালের পাশাপাশি সুখোই, মিগ, রুদ্র হেলিকপ্টার, এমআই-17 এর মতো যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার রয়েছে হাসিমারার বায়ুসেনা ছাউনিতে । ভৌগলিক দিক থেকে আলিপুরদুয়ারের ভুটান পাদদেশে অবস্থান হাসিমারা এয়ারফোর্স স্টেশনের । ফলে ভারত-চিন সীমান্তে অবস্থার অবনতি হলে প্রথমেই হাসিমারা এয়ারবেস থেকে যুদ্ধবিমানের ডাক পড়তে পারে ৷