জলপাইগুড়ি, 31 জুলাই : গত 28 জুলাই বানারহাট থানার অন্তর্গত এক মহিলা বানারহাটেরই ব্যবসায়ী জয়চাঁদ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ আনেন। ন্যায় চাইতে বিজেপির সাংসদ জন বারলার কাছে গেলে তিনি সহযোগিতা না করে উল্টে আর্থিক প্রতারণা করেন বলে অভিযোগ ৷ ওই মহিলা বানারহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর পুলিশ ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে ।
গতকাল আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলা সহ তাঁর আপ্ত সহায়ক অডিপ ভুজেল, জন বারলার ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় চৌধুরী ও সন্তোষ প্রসাদের বিরুদ্ধেও ওই মহিলা অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী সোমনাথ পাল।
যদিও সাংসদ ও সাংসদের আপ্ত সহায়কের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করলেন সাংসদ জন বারলার আপ্ত সহায়ক অডিপ ভুজেল। অন্যদিকে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা সহ তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ ওঠায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে জেলাজুড়ে।
আরও পড়ুন : জলপাইগুড়ির সাই সেন্টারেই ফেলা হচ্ছে কোভিড হাসপাতালের বর্জ্য
সরকারি আইনজীবী সোমনাথ পাল জানান, জয়চাঁদ আগরওয়াল সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে । পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে 493, 376, 417, 342, 420, 506, 509, 34 ধারায় এছাড়াও 3 এসটি, এসসি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ৷
শুক্রবার বানারহাট থানার পুলিশ ব্যবসায়ী জয়চাঁদ আগরওয়ালকে আদালতে তুললে বিচারক দুই দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
জন বারলা সহ চারজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ অভিযুক্ত সাংসদ জন বারলার আপ্ত সহায়ক অডিপ ভুজেলের দাবি , চেক বাউন্স করেছে জানিয়ে গত বছর ওই মহিলা সাংসদের কাছে এসেছিলেন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তাঁর প্রাপ্য টাকা উদ্ধারে সহযোগিতা চেয়ে । সাংসদ, অভিযুক্ত জয়চাঁদ আগরওয়ালকে ডেকে তাঁর প্রাপ্য টাকা উদ্ধারও করে দেন । মহিলা সেই সময় লিখিত দেন, এরপর থেকে জয়চাঁদের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক থাকবে না এবং ভবিষ্যতে তিনি আর কোনও অভিযোগ করবেন না ।
আরও পড়ুন : তৃণমূলের অর্ধেক নেতা দিন 15-র মধ্যে জেলে যাবেন : সায়ন্তন
তিনি আরও জানান, তাঁদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ মহিলা করছেন তা ভিত্তিহীন এবং সাংসদ বা তিনি কোনও ভাবেই আর্থিক প্রতারণা বা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত নন । অভিযুক্ত সঞ্জয় চৌধুরীর সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি ।