পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By

Published : May 27, 2020, 8:05 PM IST

ETV Bharat / state

ব্যক্তিগত উদ্যোগে হাসপাতালকে ট্রুনাট মেশিন দান জেলাপরিষদের দুই নেতার

দ্রুত টেস্ট না হওয়ায় কোয়ারানটিনে বাড়ছে আবাসিকদের চাপ। এমতাবস্থায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে 36 লাখ টাকা ব্যয়ে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরকে 2 টি ট্রুনাট মেশিন দিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের মেন্টর মোহন শর্মা ও সহ সভাধিপতি মনোরঞ্জন দে।

leaders donated Truenat machine
আলিপুরদুয়ার

আলিপুরদুয়ার, 27 মে: রাজ্যজুড়ে কোরোনা রোগী সনাক্ত করতে শম্বুকগতিতে এগোচ্ছে সোয়াব টেস্ট। অধিকাংশ জেলা হাসপাতালগুলিতে নেই টেস্টের পর্যাপ্ত পরিকাঠামো। এমত অবস্থায় জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের হাতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে দুটি ট্রুনাট মেশিন তুলে দিলেন আলিপুরদুয়ার জেলাপরিষদের মেন্টর মোহন শর্মা ও সহ সভাধিপতি মনোরঞ্জন দে।

স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এতদিন পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে দুটি ট্রুনাট মেশিন ছিল। যাতে মেরেকেটে দিনে 40 টি সোয়াবের নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব ছিল। নতুন দুটি মেশিন আসায় এবার থেকে দিনে 160 টি টেস্ট করা সম্ভব হবে। স্বভাবতই জেলাপরিষদের মেন্টর ও সহ সভাধিপতির উদ্যোগে খুশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তথা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। মোহন শর্মা ও মনোরঞ্জন দে জানান, 36 লাখ টাকা দাম পড়েছে দুটি ট্রুনাট মেশিনের। দুই নেতাই নিজেদের বাবা-মায়ের স্মৃতির উদ্দেশে মেশিন দুটিকে হাসপাতালে দান করেন বুধবার ।

এই বিষয়ে মোহন শর্মা বলেন, বাবার PF ও গ্রাচুইটিতে প্রায় সাড়ে 7 লক্ষ টাকা জমেছিল । পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সেই অর্থের সঙ্গে নিজেদের জমানো টাকা একত্র করে একটি মেশিন কিনেছি। মনোরঞ্জন দে বলেন, নিজের জমানো অর্থ থেকেই সহযোগিতা করেছি। যাতে করে দ্রুত সোয়াব টেস্ট করা সম্ভব হয়। জেলায় সোয়াব টেস্টে গতি আসুক।

এই বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ কুমার শর্মা বলেন, আমরা খুবই খুশি। জেলার দুই ব্যক্তি নতুন উদাহরণ তৈরি করলেন। আশা করি এই উদাহরণ মানুষকে উজ্জীবিত করবে আমাদের পাশে থাকতে। আপাতত 4 টি মেশিন হল আমাদের। আরও দুটি মেশিন প্রয়োজন। জেলায় 6 টি মেশিন থাকলে দিনে ন্যূনতম 250 টি টেস্ট করতে পারব।

জেলায় বর্তমানে 66 টি সরকারি কোয়ারানটিন সেন্টার রয়েছে। জেলায় যত বেশি মানুষ ফিরছেন তত সেগুলির উপর চাপ বাড়ছে। একসঙ্গে 6 টি মেশিন থাকলে যে স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষ সুবিধাই হবে তা স্পষ্ট। কারণ, জেলায় ফেরার পর 14 দিন কোয়ারানটিনে থাকতে হচ্ছে মানুষকে। দ্রুত পরীক্ষা হলে ও ফলাফল নেগেটিভ বের হলে আবাসিকরা দ্রুত ঘরে ফিরতে পারবেন। চাপ কমবে কোয়ারানটিন সেন্টারগুলির। জানাচ্ছে আলিপুরদুয়ার স্বাস্থ্য দপ্তর।

ABOUT THE AUTHOR

...view details