আলিপুরদুয়ার/জলপাইগুড়ি: আলিপুরদুয়ারে উত্তরবঙ্গের তৃতীয় বিমানবন্দর করার জন্য উদ্যোগী কেন্দ্রীয় সরকার । হাসিমারা বিমানবন্দরের জন্য কেন্দ্র 37.75 একর জমি চেয়েছে । তবে জমিজটে সমস্যায় রয়েছে রাজ্য সরকার ।
হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনির পাশেই সাতালি চা বাগান । হাসিমারা বায়ুসেনাঘাঁটি আর সাতালি চা বাগানের একটা অংশ নিয়েই বিমানবন্দর গড়ার প্রস্তাব রয়েছে । সঠিক ক্ষতিপূরণ পেলে জমি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে চা বাগান মালিকপক্ষের সংগঠনের তরফে । ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও জমি দেওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন । গত বছর 30 জুন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলাকেও লিখিতভাবে জানান যে, তাঁরা বিমানবন্দর করতে চান । কেন্দ্র সরকারের চিঠির পরেই আলিপুরদুয়ারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী জন বারলা মুখ্যমন্ত্রীকেও চিঠি দেন ।
গত বছর মুখ্যমন্ত্রী আলিপুরদুয়ার সফরে গিয়ে বিমানবন্দরের কথা ঘোষণা করলেও এখনও কেন্দ্রকে জমি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ । উত্তরবঙ্গের বাগডোগরা বিমানবন্দরের উপর চাপ অনেক বেশি । আলিপুরদুয়ার থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরের দুরত্ব 138 কিলোমিটার । ফলে আলিপুরদুয়ার থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে যেতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে । অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ার থেকে রূপসি বিমানবন্দর 83 কিলোমিটার দূরে । আলিপুরদুয়ার থেকে কোচবিহার এয়ারপোর্ট 117 কিলোমিটার দূরে । আলিপুরদুয়ার থেকে রূপসি বিমানবন্দর যেতে প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা লাগে ।
ফলে হাসিমারাতে বিমানবন্দর হলে আলিপুরদুয়ার-সহ ভুটান ও বিন্নাগুড়ি সেনাছাউনি এবং হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনিরও অনেক সুবিধা হবে । সাতালি চা বাগানের থেকে জমি নিয়ে রাজ্য বিমানবন্দর গড়ার জন্য কেন্দ্রকে জমি দেবে বলে জানা গিয়েছে । এ দিকে, সঠিক ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়েছে । সঠিক ক্ষতিপূরণের দাবিতে আইনের দ্বারস্থ হয়েছে চা বাগান মালিকপক্ষের সংগঠন ।
আলিপুরদুয়ারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বারলা জানান, "আমাদের সরকার আলিপুরদুয়ারের হাসিমারাতে এয়ারপোর্ট করার জন্য উদ্যোগী হয়েছে । গত বছর 26/6/2022 তারিখে কেন্দ্রীয় সিভিল অ্যাভিয়েশন মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলাম আলিপুরদুয়ারে এয়ারপোর্ট গড়ার জন্য । এয়ারফোর্সের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাঁদের কোনও সমস্যা নেই । তা শুনে নিয়ে এই এয়ারপোর্ট করার দাবি জানিয়েছিলাম । কারণ এই এলাকাটি ভারত-ভুটান সীমান্তে, 170 টি চা বাগান রয়েছে । জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান-সহ উত্তর-পুর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত । আলিপুরদুয়ার থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দর 138 কিলোমিটার দূরে । এয়ারপোর্টের জন্য রাজ্য সরকার জমি দিচ্ছে না । জমি না পেলে কীভাবে এয়ারপোর্ট হবে ?"