আলিপুরদুয়ার, 29 ফেব্রুয়ারি : ভুটান-ভারত সীমান্ত সংলগ্ন ডুয়ার্স । এই জায়গাটার সঙ্গে আনুষাঙ্গিকভাবে যে বিষয়গুলির কথা মাথায় আসে তা হল প্রকৃতি ও তার সৌন্দর্য । কিন্তু এই সবকিছুর আড়ালেই বাড়ছে অপরাধ । নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও অবাধে চলছে ভুটান নোটের ব্যবহার । সেই ছবিই ধরা পড়েছে ETV ভারতের ক্যামেরায় ।
সাত বছর আগে ভারত সরকার আইন করে ডুয়ার্সে ভুটানের নোটের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে দেয় । তা সত্ত্বেও ডুয়ার্সের জয়গাঁ, বীরপাড়া, মাদারিহাট, চালস, মালবাজার, মেটেলি, নাগরাকাটা, সমুকতলা, লঙ্কাপাড় ও কালচিনিতে পাওয়া যাচ্ছে ভুটানের নোট । আর তা দিয়ে চলছে কেনাবেচা ৷ যে জিনিসই কিনুন না কেন, লেনদেন করতে হবে ভুটান নোটেই । ফলে ডুয়ার্সের বাজার ছেয়ে গেছে ভুটান নোটে ।
তাহলে ভারতীয় মুদ্রা যাচ্ছে কোথায় ?
এই প্রশ্নের এককথায় উত্তর দালাল চক্র । আসলে এই দালাল চক্রের শীর্ষ স্থানীয়রা দখল নিয়েছে ভুটান মানি এক্সচেঞ্জ কাউন্টারগুলির । পান্ডাদের অধীনে যারা কাজ করে তারাই একমাত্র প্রবেশ করতে পারে এই মানি এক্সচেঞ্জ কাউন্টারগুলিতে । এই ছোটো মাপের দালালরা সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রথমে ভারতীয় মুদ্রার প্রতি 100 টাকায় 2 টাকা লোকসানে ভুটান নোট দেয় । তারপর ভারতীয় মুদ্রাগুলি ভুটান মানি এক্সচেঞ্জে নিয়ে গিয়ে সেগুলিকে ভুটান নোটে পরিবর্তন করে নেয় । তারপর সেই নোটগুলি নিয়ে চলে যায় ভুটানের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে । ব্যবসার লেনদেন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার ডিমান্ড ড্রাফট বানিয়ে ফেলা হয় । লাখ টাকার ডিমান্ড ড্রাফট বানাতে খরচ পড়ে মাত্র 300 টাকা । আর এই ডিমান্ড ড্রাফট পিছু দালাল চক্রের পান্ডাদের লাভ হচ্ছে প্রায় 1650 টাকা ।