আলিপুরদুয়ার, 9 অগস্ট: চলন্ত ট্রেনে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পরই তৎপর রেল ৷ প্রতিটি ট্রেনে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আশ্বাস দিল জিআরপি। আর যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সেই বিষয়ে তৎপর রেলওয়ে পুলিশ। গত শনিবার সিফং এক্সপ্রেসে গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। গ্রেফতার হয় ধর্ষণে অভিযুক্ত দুই যুবক ৷ এর মধ্যে নইনাল আবেদিন নামে এক যুবক এক যুবক এর আগেও আরপিএফের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে । অপরাধমূলক মানসিকতা তার আগে থেকেই ছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা ।
Security in Train: চলন্ত ট্রেনে ধর্ষণ! নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আশ্বাস জিআরপির - ট্রেনে যাত্রী নিরাপত্তা
চলমান ট্রেন থেকে সন্তানকে ছুড়ে ফেলার হুমকি দিয়ে মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে দু'জন গ্রেফতার হওয়ার পরই যাত্রী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তৎপর হল জিআরপি ৷ প্রতিটি ট্রেনে যাত্রীদের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছে জিআরপি ৷
অভিযোগ, গুয়াহাটি থেকে আলিপুরদুয়ার জংশনগামী সিফং এক্সপ্রেসে ফেরার সময় ফকিরা গ্রামে অধিকাংশ যাত্রীরা নেমে গেলে ওই কামরা প্রায় ফাঁকা হয়ে যায় । অসংরক্ষিত কামরা থাকায় সেখানে কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন না । শ্রীরামপুর থেকে আলিপুরদুয়ার জংশনের মাঝে কোনও স্টপেজ না থাকার সুযোগে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। আলিপুরদুয়ার স্টেশনে নেমে নির্যাতিতা জিআরপিকে অভিযোগ করার সঙ্গে সঙ্গেই তল্লাশি চালিয়ে নইনাল আবেদিন ও মইনুল হককে পুলিশ ধরে ফেলে ।
এই বিষয়ে শিলিগুড়ি জিআরপির পুলিশ সুপার সালভা মারুগন টেলিফোনে ইটিভি ভারতকে বলেন, "ট্রেনে ধর্ষণের একটা ঘটনা ঘটেছিল। ট্রেন ফাঁকা থাকার কারণেই ঘটনা ঘটিয়েছে অপরাধীরা। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা দু'জনকে গ্রেফতার করেছি। তবে আর যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে তার জন্য আমরা তৎপর। প্রত্যেক ট্রেনে আমাদের সারপ্রাইজ চেকিং থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছুই হচ্ছে। প্রতিটি ট্রেনেই জিআরপি'র কর্মীরা রয়েছেন।"
আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের রেলওয়ে ইউহার্স কনসালটেটিভ কমিটির সদস্য প্রসেনজিৎ দে-র কথায়, "যাত্রীদের নিরাপত্তার দিকে রেলের অবশ্যই জোর দেওয়া উচিত বলে মনে করি। পরবর্তী বৈঠকে আমরা যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে আলোচনা করব। ডিআরএমকে জানাব যাতে প্রত্যেক ট্রেনের অসংরক্ষিত কামরাতেও যাতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় "