নয়াদিল্লি, 24 জুলাই : বয়স তখন বারো কি তেরো ৷ ওই বয়সেই কাঠের ভারী বোঝা জঙ্গল থেকে বয়ে নিয়ে আসত মেয়েটি ৷ যে বোঝা বইতে তার বড় ভাই পর্যন্ত হিমসিম খেত তা অবলীলায় তুলে ফেলত ৷ বাড়ির মেয়েটির শারীরিক ক্ষমতা সম্পর্কে তখনই ধারনা হয়ে যায় ইম্ফলের পরিবারটির ৷ মীরাবাঈ চানুর (Saikhom Mirabai Chanu) প্রতিভার পরিচয় সামনে আসে তখনই ৷ এক সময়ে জঙ্গলের সেই কাঠ কুড়ানি মেয়েটিই আজ অলিম্পিকসের (Tokyo Olympics) মঞ্চে তেরঙ্গা উড়িয়েছেন ৷ ভারোত্তোলনে জিতেছেন রুপোর পদক ৷
ছোট বয়সেই ভাইবোন মিলে কাঠ কুড়াতে জঙ্গলে যেতেন ৷ ইম্ফলের নোংপোক কাকচিংয়ের মেয়ে মীরাবাঈ চানুর পারিবারিক অবস্থাটা আলাদা করে বলে দিতে হয় না ৷ সেখান থেকে অলিম্পিকসের মঞ্চ ৷ লড়াইটা ছিল বরাবর ৷ চোট আঘাতও ভুগিয়েছে বারবার ৷ রিও অলিম্পিকসে 100 শতাংশ উজাড় করে দিয়েও পদক আসেনি ৷ প্রথমবার অলিম্পিকসে গিয়ে চোখের জলে মঞ্চ ছেড়েছিলেন ৷ স্বপ্নভঙ্গের কষ্টে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন ৷ কিন্তু ছোট থেকে কঠিন লড়াইয়ের মধ্যে বড় হওয়া মীরাবাঈ জানতেন সাফল্যের কোনও শর্টকার্ট হয় না ৷ তাই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে অনুশীলনে ডুবে গিয়েছিলেন ৷