কলকাতা, 5 অগস্ট : টোকিয়ো অলিম্পিকসের দমকা হাওয়ায় মরুভূমিতে পরিণত হওয়া ভারতীয় হকিতে মরুদ্যানের খোঁজ ৷ সৌজন্যে ভারতীয় হকির একদল দামাল ছেলে ৷ 4 দশকের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অলিম্পিকসে পোডিয়াম ফিনিশ ৷ যা এককথায় ভারতীয় হকির সূর্যোদয় বলেই দেখছেন প্রাক্তনরা ৷
"জীবদ্দশায় দেশকে অলিম্পিকসের পোডিয়ামে দেখব ভাবিনি । আমার স্বপ্নপূরণ হল ৷" এভাবেই ভারতীয় পুরুষ হকি দলের ব্রোঞ্জ জয়কে ব্যাখ্যা করলেন প্রাক্তন হকি খেলোয়াড় গুরুবক্স সিং । নিজের ঝুলিতে দুটো অলিম্পিকস পদক রয়েছে । তবুও উত্তর প্রজন্মকে অলিম্পিকসের পদক মঞ্চে দেখতে চেয়েছিলেন । সেই স্বাদ পূরণ হওয়ায় তৃপ্ত অশীতিপর মানুষটি । বলছেন "মন ভালো করা হকি খেলেছে ছেলেরা । প্রতিটি বিভাগে টেক্কা দিয়েছে । পিছিয়ে পড়ে এই জয় সত্যিই গর্বের, আনন্দের । দলের প্রতিটি ছেলে দেখালো বিশ্ব সেরা হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে । আমাদের উপরে মাত্র দুটো দল । হারের ধাক্কা সামলে যেভাবে আজ ফিরে এল তার কোনও ব্যাখ্যা নেই । হকির সোনালি বিকেল ফিরে এল ৷ " পাশাপাশি তিনি যোগ করলেন,"এই সাফল্য দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার ফল । 2012তে আমরা সবার শেষে ছিলাম । এবার তিন নম্বরে । গ্রাফটা উঠেছে । আগামী দিনে আরও এগোবে । অলিম্পিক স্পোর্টসের প্রতি আরও নজর দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি । তাহলে আরও পদক আসবে ।"
ভারতের পদক জয়ে উচ্ছ্বসিত আরেক অলিম্পিয়ান ও প্রাক্তন হকি খেলোয়াড় ভরত ছেত্রী ৷ তাঁর মতে, সোনালি বিকেলের প্রত্যাবর্তন ৷ বললেন, ‘‘ দলের 18 জনকে কৃতিত্ব দেব আমি ৷ যেভাবে ফিরে এল তা অবিশ্বাস্য । পিছিয়ে থেকে ফিরে আসা ভারতীয় হকির সোনার মুহূর্ত । রক্ষণের ভাল খেলা, পেনাল্টি কর্নার কাজে লাগানো, প্রতিপক্ষের পেনাল্টি কর্নার বাঁচানো, ফিল্ড গোল করার মুন্সিয়ানা প্রমাণ করল আমরাও পারি । আজ ফিটনেসের দিক থেকেও আমরা জার্মানিকে টেক্কা দিয়েছি ৷ "