কলকাতা, 28 অক্টোবর : পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-20 বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে ভারতীয় দলকে ৷ 13 বল বাকি থাকতে 10 উইকেটে হারতে হয়েছে মেন ইন ব্লু-কে ৷ আর সোশ্যাল মিডিয়ায় গুটিকতক সমালোচক সেই হারের সব দায় চাপিয়েছে ভারতীয় দলের পেসার মহম্মদ শামির উপর ৷ দেশদ্রোহী থেকে পাকিস্তানি, এমন কোনও মন্তব্য নেই যা শামিকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়নি ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকার শামির পাশে দাঁড়িয়েছে তাঁর সতীর্থ থেকে শুরু করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এবং অগুণিত ভারতীয় ৷ কিন্তু, 1982 সালে দিল্লিতে হকি এশিয়ান গেমসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে হারের সব দায় গিয়ে পড়েছিল গোলকিপার মীররঞ্জন নেগির উপর ৷ সেদিন গোটা দেশ তাঁকে সমালোচনার তিরে বিদ্ধ করেছিল ৷ তফাত একটাই সমালোচনার সঙ্গে শামি তাঁর সতীর্থ, বোর্ড এবং অসংখ্য মানুষকে পাশে পেয়েছিলেন ৷ কিন্তু, মীররঞ্জন নেগির সতীর্থরাও সেদিন তাঁর হয়ে কথা বলেননি ৷
মহম্মদ শামির মনে মধ্যে কী চলছে, তা তিনি বুঝতে পারছেন বলে জানিয়েছেন নেগি ৷ তিনি বলেন, ‘‘সামাজিকভাবে একঘরে হওয়ার পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছিল আমাকে ৷ বাড়ি থেকে বেরোলেই লোক আমার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করত ৷ ট্যাক্সিচালক, অফিসের সহকর্মী এবং আত্মীয়স্বজন সকলেই আমাকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে দেখত ৷ অসহ্য হতাশাজনক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলতে হয়েছিল ৷’’ আর শামির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘দেশের হয়ে এতদিন ঘাম রক্ত ঝড়ানো পারফরমেন্সের মূল্যায়ন একদিনের খারাপ বোলিং দিয়ে করা হচ্ছে ৷ আঁতসকাচের তলায় ফেলা হচ্ছে শামির পারফরমেন্সকে ৷’’
আরও পড়ুন : Mohammed Shami : কঠিন সময় বোর্ডকে পাশে পেলেন শামি
যা 39 বছর আগের দিনগুলিতে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে ভারতীয় দলের প্রাক্তন গোলকিপারকে ৷ 1982 সালে দিল্লি এশিয়ান গেমসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে পরাজয়ের যাবতীয় দায় সেদিন তাঁর উপর চাপানো হয়েছিল ৷ ড্রেসিংরুমের সমালোচনা নয়, তাঁকে ক্ষতবিক্ষত করেছিল বাইরের জগতের নিরন্তর সমালোচনা ৷ তাঁরই জীবন নিয়ে তৈরি হয়েছিল কবীর খানের চরিত্র ৷ যেখানে অভিনয় করেছিলেন শাহরুখ খান ৷