মারগাও, 18 মার্চ: "সুনীলকে প্রথম একাদশের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত আমার পক্ষে সবচেয়ে কঠিনতম সিদ্ধান্ত ছিল ৷" বেঙ্গালুরু এফসির পোস্টার বয়কে নিয়ে এভাবেই নিজের সিদ্ধান্তের নেপথ্য কাহিনী শোনালেন সাইমন গ্রেসন । গোয়াতে চলতি আইএসএল ফাইনাল খেলতে নামার চব্বিশ ঘণ্টা আগে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি যখন তথ্য ফাঁস করছেন তখন পাশে বসে সুনীল ছেত্রী । সম্ভবত চলতি আইএসএল ফাইনালটি হতে চলেছে তাঁর শেষ ফাইনাল (Sunil Chhetri eyes to clinch Indian Super League) । ইতিমধ্যেই সুনীল ছেত্রী যে ফুটবল জীবনের শেষের পাতা লিখতে আরম্ভ করেছেন তা ভারতীয় দলের কোচ ঈগর স্টিমাচের কথায় ইঙ্গিত মিলেছে ।
আইএসএল ফাইনালের সরকারি সাংবাদিক সম্মেলনে সুনীল বলেন, "দল যা পারফরম্যান্স করেছে তা সত্যিই অসাধারণ । প্রথম ছ'য়ে ঢুকে পড়তে যেকটি জয় দরকার ছিল তার থেকেও বেশি ম্যাচ জিতেছি আমরা । দল হিসেবে যা অর্জন করেছি তা দুর্দান্ত । গত দশ বছরে ইতিহাসে এটিকে মোহনবাগান আমাদের কাছে অন্যতম কঠিনতম প্রতিপক্ষ । তবে ফাইনাল নতুন ম্যাচ । মোহনবাগানের মধ্যে আমি এবং আমাদের দল দাঁড়িয়ে রয়েছে । শেষ দশ-এগারোটা ম্যাচে আমরা একটা দল হিসেবে খেলেছি । অন্য ম্যাচগুলোর মতো ফাইনালেও কোচের মন্ত্র ও দিগনির্দেশ একই রয়েছে । মুম্বইকে মুম্বইয়ের মাটিতে হারানো বা চেন্নাইয়িনকে চেন্নাইয়ে কিংবা মোহনবাগানকে কলকাতায় হারানো সহজ নয় । তবে এই পর্যায়ে এসে আমরা ট্রফি জিততে না-পারলে যাবতীয় পারফরম্যান্স কেউ মনে রাখবে না ।"
একসময় মোহনবাগানের হাত ধরেই সুনীলের উত্থান । সেখান থেকেই জেসিটি'তে যাওয়া । শ্বশুর সুব্রত ভট্টাচার্য বাগানের ঘরের ছেলে । এই বিষয়গুলি কি চাপে রাখবে সুনীলকে ? প্রায় একই সঙ্গে এসেছে সুব্রত ভট্টাচার্যের সমর্থন পাওয়ার প্রসঙ্গও । সুনীল বলেন, "তিনি যদি আমাকে সমর্থন না-করেন তাহলে ক্ষমা করে দেব । উনি কিংবদন্তি । মোহনবাগান অন্তপ্রাণ । তাই আমাকে সমর্থন না-করলে কিছু মনে করব না । তবে আমার স্ত্রী সবসময় সমর্থন করে । যেখানেই খেলি ওর সমর্থন থাকে আমার জন্য ।"