ভাঙা বাংলায় সমর্থকদের মোহনবাগান দিবসের শুভেচ্ছা সুনীলের কলকাতা, 29 জুলাই:মহরমের জন্য 29 জুলাই মোহনবাগান দিবসের অনুষ্ঠানসূচিতে ভাগ বসেছে ৷ তবে মোহনবাগান দিবসের অনুষ্ঠানের সঙ্গে যখন জুড়ে যায় সুব্রত ভট্টাচার্যের নাম, তখন কাটছাট হলেও আবেগ ছাপিয়ে যায় ষোলোআনা। শনিবার 29 জুলাই একই মঞ্চে পাশাপাশি বসে সুব্রত ভট্টাচার্যের আত্মজীবনী 'ষোলো আনা বাবলু' প্রকাশিত হল মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল দুই ক্লাবের হাত ধরেই। চাঁদের হাটে উপস্থিত ছিলেন সমসাময়িক খেলোয়াড়রা। চিরকাল প্রতিদ্বন্দ্বী শিবিরে খেলা মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যও বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে সুব্রত ভট্টাচার্যের ক্যারিশমায় মুগ্ধতা প্রকাশ করলেন।
গৌতম সরকার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্যাম থাপা, তরুণ বসু, সমরেশ চৌধুরী ৷ কে নেই সেখানে ? সতীর্থ বাবলু (সুব্রত ভট্টাচার্যের ময়দানের নাম) সম্পর্কে অকপট সকলেই। সুব্রত ভট্টাচার্য এমন একজন ফুটবলার যাকে কোনও গতে বাঁধা যায় না। এদিন মোহনবাগান দিবসের মঞ্চে 'ষোলো আনা বাবলু' বইটি প্রকাশিত হল কিংবদন্তির জামাই অর্থাৎ, আরেক কিংবদন্তি সুনীল ছেত্রীর হাত ধরে। ভারতীয় দলের অধিনায়ক আসন্ন এশিয়ান গেমসে দেশকে নেতৃত্ব দেবেন। সাফ কাপ-সহ টানা তিনটে আর্ন্তজাতিক টুর্নামেন্ট জিতে প্রথমবার কলকাতায় সুনীল। ফুটবল জীবনের প্রথম কোচ সুব্রত ভট্টাচার্যের সঙ্গে পরবর্তীতে পারিবারিক সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছেন। তাই জোড়া দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা বাগানের কিংবদন্তিকে নিয়ে অনেক অজানা কথা সামনে আনলেন ভারত অধিনায়ক।
সন্তানসম্ভবা স্ত্রী সোনম শনিবারের অনুষ্ঠানে সুনীলকে বাংলায় বলতে বলেছিলেন। ভাঙা বাংলায় ভারত অধিনায়ক জানালেন, ট্রেনিংয়ের সময় অনেক গালাগালি খেতে হত ৷ আর গালাগালি খেতে খেতে বাংলা শিখে গিয়েছিলেন তিনি। এখন ট্রেনিং শেষ, তাই বাংলায় মরচে ধরেছে। ভারত অধিনায়ক বলেন, "প্রথম থেকে মোহনবাগান আবেগ নিয়ে ধারণা ছিল না। কিন্তু একটা মানুষ আমাকে সবসময় সেরাটা দিয়ে যাওয়ার উপদেশ দিয়েছিল। তাঁর নাম সুব্রত ভট্টাচার্য। যা আমি এখনও পালন করি।"
জামাইয়ের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় সুব্রত ভট্টাচার্য আরও পড়ুন:সুযোগ নষ্টের প্রদর্শনীতেও 4 গোলে জয়, সুহেলের ছন্দে ফুল ফুটল বাগানে
পালটা তারকা জামাইয়ের প্রশংসায় শ্বশুরমশাই ৷ এশিয়াডে দেশকে নেতৃত্ব দিতে চলা গর্বিত জামাইকে নিয়ে সুব্রত বললেন, "ফুটবল না-খেলে যে কোনও পেশা বেছে নিলেই সফল হত ও। ওর নিষ্ঠা অসাধারণ ৷" মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত ঘরের ছেলেকে নিয়ে বলেন, "সুব্রত ভট্টাচার্য মানেই মোহনবাগান। মোহনবাগান মানেই সুব্রত ভট্টাচার্য।" ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, "তাঁর দেখা রক্ষণের সেরা জুটি মনোরঞ্জন এবং তরুণ দে। তবে ক্লাব প্রশাসক হলে সুব্রত ভট্টাচার্যকে দলে নিয়ে যেতে চাইতেন অবশ্যই।" আর লাল-হলুদের ঘরের ছেলে মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য তাঁর কাউন্টার পার্টকে নিয়ে বললেন, "আত্মবিশ্বাস যে কোনও ডিফেন্ডারের সেরা শক্তি। সেই আত্মবিশ্বাসে ভর দিয়ে সুব্রত ভট্টাচার্য নিজেকে সেরা প্রমাণ করেছিলেন।" সল্টলেকের এইচবি ব্লকে একটি মাঠ সুব্রত ভট্টাচার্যের নামে করার কথা এদিন অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু ৷