কলকাতা, 15 এপ্রিল : মোহনবাগান ক্লাবের বারপুজোর (barpujo of Mohun Bagan Club) নিমন্ত্রণপত্র এবার পৌঁছয়নি প্রাক্তন ক্লাব সচিব সৃঞ্জয় বসুর কাছে । তাঁকে শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপ করে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে । ক্লাবের বর্তমান পদাধিকারীদের তরফেও কেউ ফোন করে সৃঞ্জয় বসুকে আমন্ত্রণ জানাননি ৷ শুক্রবার মোহনবাগান ক্লাব থেকে অনতিদূরে ভবানীপুর ক্লাবে বসে একথা জানিয়েছেন সৃঞ্জয় বসু । এই ক্লাবের শীর্ষকর্তা হিসেবে সৃঞ্জয় বসু অবশ্য মোহনবাগানের বর্তমান সচিব দেবাশিষ দত্তকে ফোন করে বারপুজোর অনুষ্ঠানে ভবানীপুর ক্লাবে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন । ব্যস্ততার ফাঁকে অন্তত একবার তাঁকে ভবানীপুর ক্লাবে এসে ঘুরে যাওয়ার অনুরোধ করেন ৷
যাঁরা ময়দানের খবর রাখেন তাঁরা জানেন, মোহনবাগান এবং বসু পরিবারের যোগ বিজ্ঞাপনী সংস্থার আঁটার মতো । অথচ সেই মোহনবাগান ক্লাবের বারপুজোয় তাঁদের কাউকে দেখা গেল না (Srinjay Bose absent from barpujo of Mohun Bagan)। সভাপতি টুটু বসুও ব্রাত্য । যদিও মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত বলছেন, “ টুটু বসু, অঞ্জন মিত্ররা মোহনবাগানের অবিচ্ছেদ্য অংশ । তবে সবাইকেই থামতে হয় । উমাপতি কুমার, ধীরেন দে, শৈলেন মান্নাকেও থামতে হয়েছে ।” তবে এই বিষয়টি নিয়ে তিনি কী ভাবছেন তা নিয়ে সরাসরি মুখ খুলতে রাজি নন সৃঞ্জয় বসু । টুটু বসু মোহনবাগানের প্রেসিডেন্ট আছেন কি না তা নিয়েও শব্দ খরচ করেননি তিনি । শুধু বলেছেন, “দেখুন আমার পয়তাল্লিশ বছর বয়স । আমি থামব কি না তা ঈশ্বর ঠিক করবেন । অন্য কেউ যদি ঠিক করে ফেলেন, সেটা তার বিষয়”।