কলকাতা, 24 নভেম্বর: প্রয়াত বাংলা তথা কলকাতা ময়দানেক প্রখ্যাত ক্রীড়া সাংবাদিক অরুণ সেনগুপ্ত ৷ দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন তিনি ৷ অবশেষ সেই লড়াইয়ের অবসান ৷ 65 বছর বয়সে বৃহস্পতিবার রাত 11টা 25 মিনিটে শেষ নিঃশ্বাসত্যাগ করলেন তিনি ৷ মৃত্যুকালে রেখে গেলেন স্ত্রী, কন্যা এবং জামাতাকে ৷ সংবাদ জগতে তিনি পরিচিত ছিলেন 'ছদ্মবেশী' নামে ৷
আজকাল সংবাদপত্রে প্রুফরিডার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ৷ পরবর্তী সময়ে ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ৷ প্রথমে 'ছদ্মবেশী' নামে লিখতেন ৷ পরবর্তী সময়ে 'ছদ্মবেশী'র খোলস ছেড়ে নিজের নামে লিখতে শুরু করেন ৷ ময়দান ও ক্রীড়াজগতের বহু চর্চিত খবর অরুণ সেনগুপ্তর কলম থেকে বেরিয়েছে ৷ যা চমকে দিয়েছে সকলকে ৷ ফুটবলার থেকে কর্তা সকলের ভালো কাজে ও পারফর্ম্যান্সের প্রশংসা যেমন থাকত ৷ তেমনই কোনও গড়বড় দেখলে কষাঘাত নেমে আসত তাঁর কলমের মাধ্যমে ৷ ফুটবলার তথা ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের কাছের মানুষ হয়ে উঠতেন সহজেই ৷ তাঁদের সুখ-দুঃখের শরিক হতেন ৷ কৃশানু দে, সুভাষ ভৌমিক সবার প্রিয় ছিলেন অরুণ সেনগুপ্ত ৷
সাংবাদিক হিসেবে কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের তালিকায় তিনটি ফুটবল বিশ্বকাপ রয়েছে ৷ আর্ন্তজাতিক ফুটবলে শ্রেষ্ঠ মঞ্চে কাজ করলেও, ময়দান এবং ভারতীয় ক্রীড়াজগৎ, বিশেষ করে ফুটবলের সঙ্গে কখনও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি তাঁর ৷ বাংলা দৈনিক সংবাদপত্র আজকালে সুনামের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন ৷ পরবর্তী সময়ে সংবাদ প্রতিদিনে যোগ দেন ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে ৷ সেখানেও অরুণ সেনগুপ্তর কলম রেয়াত করেনি কাউকে ৷ কর্মজীবনের শেষ বেলায় সংবাদ প্রতিদিনে অ্যাসিট্যান্ট এডিটর পদে ছিলেন ৷ শুধু খেলার দুনিয়া নয়, অন্যান্য যে কোনও ক্ষেত্রে তাঁর মুন্সিয়ানার প্রকাশ দেখা যেত ৷ বলতেন, “ক্রীড়া সাংবাদিকরা যে কোনও বিভাগে কাজ করতে পারেন ৷”