পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / sports

কোরোনার থাবায় সমস্যায় হুগলি জেলার ক্রীড়া সংস্থাগুলি - কোরোনা মহামারি

হুগলি ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস এসোসিয়েশনের মোট ক্লাবের সংখ্যা 200টি ৷ হুগলি জেলা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের কর্মীদের 25 থেকে 30 হাজার টাকা প্রতি মাসে বেতন দিতে হয় । এছাড়া 10 থেকে 15 হাজার টাকা মাঠ পরিচর্যার জন্য খরচ হয় । কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই অর্থ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছে জেলার ক্রীড়া সংস্থাগুলি ৷

image
হুগলি জেলার ক্রীড়াসংস্থাগুলি

By

Published : Jun 28, 2020, 12:36 AM IST

হুগলি, 27জুন : লকডাউনের জেরে ক্ষতির মুখে জেলাক্রীড়া মহল । কোরোনার জন্য সকলেই আতঙ্কিত ৷ তার উপর লকডাউন দীর্ঘদিন ধরে চলার ফলেসমস্যায় জেলা স্পোর্টস এসোসিয়েশন । হুগলি জেলাতেই দুটি এসোসিয়েশনের আছে । হুগলিডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস এসোসিয়েশন ও চন্দননগর ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস এসোসিয়েশন ।কোরোনা আর লকডাউনে সমস্ত খেলা বন্ধ হয়ে গেছে । আর সেই কারণে জেলার দুই ক্রীড়াসংস্থার ক্লাবগুলি একের পর এক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন । শুধু ক্লাবগুলিই নাজেলাতে স্পোর্টস এসোসিয়েশনের তরফে আন্তরাজ্য ও দেশের খেলা থেকেও বঞ্চিত খেলোয়াড়রা। সেই সঙ্গে যারা কোচ ও খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দেন তারাও নানারকম সমস্যার সম্মুখীন। বিশেষ করে যারা খেলোয়াড়দের কোচিং করিয়েই জীবিকা নির্বাহ করেন তারা এখন দিশাহারা।

হুগলিডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস এসোসিয়েশনের মোট ক্লাবের সংখ্যা200টি ৷ হুগলি জেলা স্পোর্টসঅ্যাসোসিয়েশনের কর্মীদের25থেকে30হাজারটাকা প্রতি মাসে বেতন দিতে হয় । এছাড়া10থেকে15হাজার টাকা মাঠ পরিচর্যার জন্য খরচহয় । বিভিন্ন রকম খেলা এবং মাঠ পরিচর্যার জন্য সরঞ্জাম কিনতে হয় স্পোর্টসএসোসিয়েশনের মোট40থেকে50হাজারটাকা প্রতি মাসে খরচ আছে । মোট কোচের সংখ্যা25

অন্যদিকেচন্দননগর ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস এসোসিয়েশনের মোট ক্লাবের সংখ্যা26টি । ফুটবল,ক্রিকেট ছাড়াও বেশকিছু খেলা যেমনকাবাডি,হকি,ভলি বল,সাঁতার ও টেনিস সহ ইনডোর খেলাগুলি বন্ধহয়ে পড়ে আছে ৷ এই ক্লাবগুলিতে কয়েকশো কোচ যুক্ত । কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেইঅর্থ তুলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনগুলিকে ৷

প্রাক্তনখেলোয়াড় ও ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টসের সভাপতি তনুময় বসু বলেন,‘‘স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন17মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে ।সমস্ত খেলাধুলা বন্ধ হয়ে আছে । একটা জেলার ক্রীড়া সংস্থায় যদি খেলাধুলাই না হয়সংস্থার কোনও মূল্যই থাকে না ।

চুঁচুড়া ইউনিয়ন ক্লাবের সীতেশ দাসবলেন, ‘‘ক্লাবগুলিবন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে কোনওভাবেই টাকা পয়সা পাওয়া যাচ্ছে না । সরকারি নিয়মঅনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব রেখে খেলাধুলা করতে হবে । কিন্তু এই সময় প্রচন্ড সমস্যারমধ্যে পড়তে হচ্ছে ।’’

চুঁচুড়ারএকটি ক্লাবের কোচ অমরনাথ মুখার্জি বলেন, ‘‘ডিস্ট্রিক্ট অ্যাসোসিয়েশন যতক্ষণপর্যন্ত না অনুমতি দিচ্ছে ততক্ষণ আমরা খেলা চালু করতে পারছি না । পরিস্থিতি খুবইখারাপ । এভাবে বেশিদিন চলা সম্ভব নয় ।চন্দননগর ডিস্ট্রিক্ট অ্যাসোসিয়েশনতরফে বামাপদ চট্টোপাধ্যায় বলেন,‘‘কোরোনা পরিস্থিতির মধ্যে খেলোয়াড় কোচ এবং যারা মাঠ বন্ধুতারা প্রত্যেকেই কিছু না কিছু ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ।’’

ABOUT THE AUTHOR

...view details