নয়াদিল্লি, 18 জুন: লড়াইটা ছিল একাংশ কুস্তিগীর বনাম রেসলিং ফেডেরেশন অফ ইন্ডিয়া ও তার প্রেসিডেন্ট ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের মধ্যে ৷ কিন্তু, এবার তা কুস্তিগীরদের নিজেদের লড়াই হয়ে গিয়েছে ৷ বিশেষ করে সাক্ষী মালিক এবং ববিতা ফোগতের মধ্যে ৷ ববিতা শাসক বিজেপির কোলে গিয়ে বসে পড়েছেন বলে কটাক্ষ করলেন সাক্ষী ৷ আবারও অভিযোগ করলেন তীর্থ রানা এবং ববিতা ফোগত বিপদে পড়া কুস্তিগীরদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছেন ৷ উল্লেখ্য, গতকাল ববিতা ফোগত, সাক্ষী-সহ অন্য আন্দোলনকারী কুস্তিগীরদের 'কংগ্রেসে হাতের পুতুল' বলে নিশানা করেছিলেন ৷
সাক্ষী মালিক এবং তাঁর স্বামীর 11 মিনিটের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন শনিবার ৷ সেখানে তাঁরা দাবি করেছিলেন, গত জানুয়ারি মাসে কুস্তিগীর তথা বিজেপি নেত্রী ববিতা ফোগত এবং তীর্থ রানা তাঁদের যন্তর মন্তরে বিক্ষোভ দেখানোর অনুমতি পাইয়ে দিয়েছিলেন ৷ আর সেই নিয়েই মূলত সাক্ষী এবং তাঁর স্বামীকে সোশাল মিডিয়ায় নিশানা করেন ববিতা ৷ সেখানে তিনি বলেন, "আমার খুব দুঃখ হচ্ছে এবং হাসিও পাচ্ছে, আমার বোন সাক্ষী এবং তাঁর স্বামীর পোস্ট করা ভিডিয়ো দেখে ৷ প্রথমত, ওঁরা যে অনুমতির চিঠিটা দেখিয়েছে, সেখানে কোথাও আমার সই নেই । আমার নামও ওই চিঠিতে নেই ৷ অতএব আমার সম্মতির কোনও প্রমাণ নেই ৷"
ববিতা এও জানিয়েছেন, তিনি আন্দোলনকারী কুস্তিগীরদের আইন ব্যবস্থার উপর ভরসা রাখতে বলেছিলেন ৷ কিন্তু, তাঁরা সেটা করেননি ৷ তিনি বলেন, "সত্যি অবশ্যই সামনে আসবে ৷ আমি একাধিকবার ওঁদের বলেছিলাম একবার প্রধানমন্ত্রী অথবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ৷ সেখান থেকেই সমস্যার সমাধান বেরিয়ে আসবে ৷ কিন্তু, তাঁরা সমস্যার সমাধান চাইতে কংগ্রেসের প্রিয়াঙ্কা গান্ধি এবং দীপেন্দর সিং হুডা এবং অন্যাদের কাছে গিয়েছিলেন ৷ এঁরা নিজেরাই ধর্ষণ-সহ অন্যান্য মামলায় অভিযুক্ত ৷"
আর এই ইস্যুতে সাক্ষী, ভিনেশ এবং বজরংদের দেশের হয়ে জেতা পদক গঙ্গায় বিসর্জনের বিষয়টির সমালোচনা করেন ববিতা ফোগত ৷ তিনি অভিযোগ করেছেন, গঙ্গায় পদক ভাসিয়ে দেওয়ার কথা বলে দেশবাসীর মাথা বিশ্বের কাছে হেঁট করে দিয়েছেন কুস্তিগীররা ৷ আর নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনের দিন তাঁদের আন্দোলন, আসলে কংগ্রেসের উস্কানিতেই হয়েছিল ৷ কংগ্রেস তাঁদের হাতের পুতুলের মতো ব্যবহার করছে বলে নিশানা করেন ববিতা ফোগত ৷