রসুলপুর,(বর্ধমান), 19 আগস্ট : পূর্ব বর্ধমান জেলার রসুলপুরের উলারা গ্রাম ৷ এখানেই বসবাস করেন দীপ্তিকুমার ঘোষ ৷ একসময় ভারতীয় ক্রিকেটে ফিজিওর কাজ করা দীপ্তিবাবু আজ অশীতিপর বৃদ্ধ ৷ কিন্তু এখনও সাইকেল নিয়ে এলাকা চষে বেড়ান তিনি ৷ তবে শুধুমাত্র ভারতীয় ক্রিকেট দল না, ফুটবল দলেও ফিজিওর কাজ করেছেন দীপ্তিবাবু ৷ কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি সচিন, সৌরভ, দ্রাবিড়, কপিলদেব সঙ্গে ৷ ফুটবলে আই এম বিজয়ন, বাইচুং ভুটিয়ার সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি ৷ কিন্তু বর্তমানে এই ফিজিওর খোঁজ নেয় না কেউ ৷
ভারতীয় ক্রিকেটের 'A' দল, সিনিয়র ক্রিকেট দল, জাতীয় ফুটবল টিমে দীর্ঘদিন ফিজিওর দায়িত্ব ছিল দীপ্তিকুমার ঘোষ । ইংল্যান্ড, মরিশাস, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, সহ একাধিক দেশে টিমের সঙ্গে ছিলেন । কপিল দেব, সচিন , সৌরভ, দ্রাবিড়, লক্ষণ থেকে শুরু করে বাইচুং, বিজয়নদের দিয়েছিলেন ফিটনেসের মন্ত্র । দিনরাত এক করে তাদের সুস্থ রাখার জন্য ছুটে বেড়াতেন তিনি । কোনও খেলোয়াড় চোট পেলে কীভাবে তাকে দ্রুত সুস্থ করে তোলা যায় । তাদের সারাদিনের রুটিন তৈরি করে নজরদারি সবই সামলাতেন একার হাতে । এককথায় সচিন, সৌরভ, বাইচুংদের কাছে তিনি দাদা হয়ে উঠেছিলেন ।
ভারতীয় ফুটবল দলে কনস্টানটাইন, মিলোভান, জোসেফ গেলি, আক্রমাভদের মতো বিদেশি কোচদের সঙ্গে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন । ফিজিও হিসেবে প্রশংসা পেয়েছেন অমল দত্ত, পি কে ব্যানার্জি , নইমুদ্দিনদেরও । প্রথম বাঙালি হিসেবে রাশিয়ার কিয়েভ স্টেট ইনস্টিটিউট থেকে অ্যাথলেটিক্স ও ফুটবলের ফিজিও হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন । ভারতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ় সফর, ভারতীয় ফুটবল দলের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে এশিয়ান কাপ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ , ঢাকা সাফ গেমস, বাংলাদেশে প্রি ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবল, কলকাতা সাফ গেমস, এশিয়ান গেমস, নেহরু গোল্ড কাপ, অনূর্ধ্ব 17 ফুটবল দল নিয়ে পশ্চিম জার্মানি সহ একাধিক দেশে গেছেন তিনি । ফিজিও হিসেবে মিলেছে বিদেশি সম্মানও । স্পোর্টস মেডিসিন নিয়ে কাজ করেছেন CAB-তে । 1971 সালে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম স্পোর্টস অফিসার নিযুক্ত হন দীপ্তিবাবু ।