কলকাতা, 3 ডিসেম্বর: 'চেজ দ্য ম্যান, ক্লিয়ার দ্য বল' ৷ 'পুশ পুশ' ৷ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন চত্বরে সন্ধেবেলা উপস্থিত থাকলে এই ধরনের চিৎকার আপনার কানে আসবে। চারিদিকে অন্ধকার। একটি মাত্র মাঠে আলো জ্বলছে। প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলন চলছে। সেখান থেকেই এই চিৎকার। যাঁদের গলা থেকে চিৎকার বেরিয়ে আসছে তাঁরা প্রত্যেকেই ইস্টবেঙ্গলের কোচিং ব্রিগেডের সদস্য। নিজেদের মধ্যে অনুশীলন ম্যাচে ফুটবলারদের তাঁরা নির্দেশ দিচ্ছেন এভাবে চিৎকার করে। ভুল-ত্রুটি শুধরে নিতে এই চিৎকার ফুটবল অনুশীলনের চেনা ছবি। লাল-হলুদ প্র্যাকটিসও তার ব্যতিক্রম নয়।
আক্রমণ থেকে রক্ষণ সব বিভাগেই একাধিক সমস্যা। কীভাবে তার সমাধান হবে তা বুঝে পাচ্ছেন না কার্লেস কুয়াদ্রাত। সোমবার ঘরের মাঠে ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড। এই দলটির বিরুদ্ধে ডুরান্ড কাপে টাই ভেঙে জিতেছিল লাল-হলুদ। দুই উইঙ্গার জাভাকো এবং ফাল্গুনী সিং লাল-হলুদ রক্ষণকে পুরো সময় অস্বস্তিতে রেখেছিলেন। এবার তাদের ফের সামলানোর চ্যালেঞ্জ। ফলে ঘরের মাঠে জয়ের খোঁজে কার্লেস কুয়াদ্রাত রক্ষণের ফুটিফাটা মেরামতে ব্যস্ত।
নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড সাত ম্যাচে দু'টি জয় তিনটি ড্র করে 9 পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় ছয় নম্বরে রয়েছে। শেষ ম্যাচে তারা বেঙ্গালুরু এফসির সঙ্গে 1-1 গোলে ড্র করেছিল। অন্যদিকে, চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে পার্দোর ছোট ভুলে নিশ্চিত 3 পয়েন্ট হাতছাড়া হয়েছিল। অ্যাওয়ে ম্যাচে চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে 1-1 গোলে ড্র করে এক পয়েন্টে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের। হারের হ্যাটট্রিকের পরে ড্র করে অন্তত খালি হাতে ফিরতে না-হওয়ার মধ্যে তৃপ্তি খুঁজেছিল লাল-হলুদ। তবে আত্মতুষ্টি নয়। এবার ভুল শুধরে সামনে তাকানোর ডাক।
পাঁচ ডিফেন্ডারে দল সাজাচ্ছেন লাল-হলুদ কোচ। রক্ষণ মজবুত করে গোলের খোঁজে নামছে ৷ কিন্তু পাঁচ ডিফেন্ডারের বোঝাপড়ায় এখনও খুঁত রয়েছে। আর তা কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষ বাজিমাত করছে। শনিবার অনুশীলনে দুই সাইড ব্যাককে বাড়তি সময় ব্যয় করা হয়। পাশাপাশি মহেশ নাওরেম সিংকে উইংয়ে ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে। যাতে প্রতিপক্ষের সাইড ব্যাক নিশ্চিন্তে ওভারল্যাপ না-করতে পারে। কুয়াদ্রাতের কাছে আশার আলো বোরহার সুস্থ হয়ে ওঠা।