হিন্দ মোটর, 27 ডিসেম্বর: মনিকা বাত্রা, ঐহিকা মুখোপাধ্যায়দের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারতীয় টেবিল টেনিসে নতুন মুখ পয়মন্তী বৈশ্য ৷ হুগলির হিন্দমোটর থেকে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের খেতাবের দৌড় কখনও মসৃণ, তো কখনও বাধার কাটায় ভরপুর ৷ সব ছাপিয়ে বাংলার টেবিল টেনিসে ফের জাতীয় খেতাবের আলো ৷ কোনও সন্দেহ নেই বাংলার টেবিল টেনিসে যে ক’জন মেয়ের নাম ধারাবাহিকভাবে সাফল্যের সরণিতে, তাঁদের মধ্যে পয়মন্তী বৈশ্য অন্যতম ৷ ট্রফি ওর পায়ে পায়ে হাঁটে বলা যাবে না ৷ তবে খেতাবের দৌড়ে সবসময়ই বছর একুশের মেয়েটি ছিলেনই ৷
প্রথমবার ন্যাশানাল চ্যাম্পিয়নের খেতাব জিতেছেন পয়মন্তী ৷ তার সলতে পাকানোর কাজটা চলতি বছরে রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপেই শুরু হয়েছিল ৷ এবারের রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপেও খেতাব পয়মন্তীর নামের পাশে ৷ তবে, রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া প্রথম নয় ৷ দু’বছর আগে 2021 সালে পয়মন্তী রাজ্য থেকে সেরা হয়েছিলেন ৷ এছাড়াও সাবজুনিয়র, জুনিয়র, ইয়ুথ বিভাগে রাজ্য পর্যায়ে নিয়মিত খেতাব জিতেছেন তিনি ৷ এমনকি দেশের হয়ে জুনিয়র পর্যায়ে সার্বিয়ান ওপেনে সাফল্য পেয়েছেন বাংলার এই মেয়ে ৷
সেদিক থেকে হিন্দ মোটরের নিম্নমধ্যবিত্ত ঘর থেকে উঠে আসা, একটা সাধারণ মেয়ের অসাধারণ হয়ে ওঠার গল্প টেবিল টেনিসকে কেন্দ্র করেই ৷ তিনি টেবিল টেনিসে জুনিয়র থেকে সিনিয়র একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন ৷ বর্তমানে 85 তম ন্যাশনাল টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে সিঙ্গলস ছাড়াও ডাবলসে সুতীর্থা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে চ্যাম্পিয়ন পয়মন্তী ৷ তিনি বলেন, “আমি যে চ্যাম্পিয়ন হব তা ভাবিনি ৷ শুধুমাত্র নিজের খেলাটা খেলতে চেয়েছিলাম ৷ আমি এর আগে কোনদিন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের আসরে সেমিফাইনালে খেলিনি ৷ জাতীয় ক্রমতালিকায় রয়েছি নয় নম্বরে ৷ এটা পুরোটাই স্বপ্ন মনে হচ্ছে ৷”