কলকাতা, 3 সেপ্টেম্বর: দল ফাইনাল হারলেও ডুরান্ড কাপে সেরা ফুটবলার হলেন ইস্টবেঙ্গলের নন্দকুমার সেকর ৷ তীরে এসে লাল-হলুদের তরী ডুবলেও টুর্নামেন্টে তাঁর মতো সবচেয়ে ধারাবাহিক এবং সফল ফুটবলার খুব কমই ছিল ৷ উপহার হিসেবে গোল্ডেন বুট পেলেন ওড়িশা এফসি'র প্রাক্তনী ৷ আর সবচেয়ে বেশি গোল করে টুর্নামেন্টে সোনার বুট জিতলেন মহামেডান স্পোর্টিংয়ের ডেভিড লালহানসঙ্গা ৷ পাশাপাশি সেরা গোলকিপার হয়ে গোল্ডেন গ্লাভ জিতে নিলেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিশাল কাইথ ৷
রবিবাসরীয় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইস্টবেঙ্গলকে 1-0 গোলে হারিয়ে 17তম ডুরান্ড কাপ ঘরে তুলল মোহনবাগান ৷ যে ম্যাচে সবুজ-মেরুন শিবিরের হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন দিমিত্রি পেত্রাতোস ৷ তাঁর ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া বাঁ-পায়ের শট প্রভসুখন সিং গিলের গ্লাভস ছুঁয়ে জালে জড়িয়ে যায় ৷ কিন্তু, এ দিনের ম্যাচে দু’দলই একাধিক সুযোগ পেয়েছিল ৷ যা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় কলকাতার দুই বড় দল ৷ ওয়ান-টু-ওয়ানে দু’টি গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে ইস্টবেঙ্গল ৷ তার মধ্যে একটি ম্যাচে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় ৷
ডুরান্ড কাপ প্রতিযোগিতার সেরা ফুটবলার ইস্টবেঙ্গলের নন্দকুমার গোল্ডেন বলের পাশাপাশি চার লক্ষ টাকা পুরস্কার পেয়েছেন ৷ সোনার বুট জেতার পাশাপাশি মহমেডানের ডেভিড লালহানসঙ্গাও 4 লক্ষ টাকার পুরস্কার জিতেছেন ৷ টুর্নামেন্টের সেরা গোলকিপার বিশাল কাইথের ঝুলিতেও গিয়েছে 4 লক্ষ টাকার আর্থিক পুরস্কারমূল্য ৷ রানার্স হয়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব পেয়েছে 30 লক্ষ টাকা ৷ জয়ী দল হিসেবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট পেয়েছে 60 লক্ষ টাকা ৷ ভারতীয় সশস্ত্র সেনা আয়োজিত ডুরান্ড কাপ ট্রফি এদিন মোহনবাগান অধিনায়কের হাতে তুলে দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷
আরও পড়ুন:মধুর বদলা, ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে 23 বছর পর ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান
তবে, আজকের ম্যাচে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় জুয়ান ফেরান্দোর স্ট্র্যাটেজি ৷ লাল কার্ড দেখে অনিরুদ্ধ থাপা মাঠ ছাড়েন 61 মিনিটে ৷ এরপর ম্যাচে ঝাঁঝ বাড়ানোর বদলে গা-ছাড়া ফুটবল খেলতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল ৷ আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগান ফেরান্দো ৷ কয়েকটি ট্যাকটিক্যাল পরিবর্তন করে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে প্রতিআক্রমণে যান তিনি ৷ আর সেখানেই বাজি মেরে যান গতবছর আইএসএল এনে দেওয়া কোচ ৷