হকি ডার্বি জিতে কটাক্ষ বাগান সচিবের কলকাতা, 9 মার্চ: ফুটবলের পর হকি। সবুজ-মেরুন বনাম লাল-হলুদের লড়াইয়ে এগিয়ে গোষ্ঠ পাল সরণির ক্লাবটি। হকি লিগের অসমাপ্ত ডার্বির বাকি অংশটি সম্পন্ন হল মহামেডান স্পোর্টিং মাঠে। কুড়ি দিন আগে 19 ফেব্রুয়ারি প্রথমবার হকি লিগে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। দুই যুগ পরে দুই প্রধান হকির মাঠে মুখোমুখি। স্বাভাবিকভাবে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। গ্যাল্যারির উত্তেজনা মাঠে ছড়িয়ে পড়ায় এবং অপর্যাপ্ত নিরাপত্তার কারণে সেদিন ম্যাচ বন্ধ হয়ে যায়। যা অপেক্ষা করেও আলোর অভাবে শেষ করা যায়নি।
সেই সময় মোহনবাগান 1-0 গোলে এগিয়ে ছিল। সবুজ-মেরুনের হয়ে 12 মিনিটে গোল করেছিলেন নীতিশ নিউপেন। সেদিন ম্যাচ ভেস্তে গেলেও ঘোষণা করা হয়েছিল ডার্বির বাকি অংশ নির্ধারিত দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এবং দিনটি আলোচনা করে জানিয়ে দেওয়া হবে। সেইমতো আজ, 9 মার্চ মহামেডান মাঠে বিকেল চারটেয় ম্যাচের বাকি অংশ শুরু হয়। গ্যালারি দর্শকশূন্য রাখার কথা বলা হলেও হাওড়া ইউনিয়ন গ্যালারিতে মোহনবাগানের জনা পঞ্চাশেক সমর্থক এবং মহামেডান ক্লাবের সদস্য গ্যালারিতে ইস্টবেঙ্গলের কিছু সমর্থককে বসার অনুমতি দিয়েছিল পুলিশ।
এদিন শুরু থেকেই নিরাপত্তা ছিল আঁটোসাটো। তৃতীয় কোয়ার্টারের শুরুর তিন মিনিটের মধ্যে মাইকেল টোপনোর গোলে সমতায় ফেরে ইস্টবেঙ্গল। এই সময় মনে হয়েছিল লাল-হলুদ বোধহয় ম্যাচের রাশ তুলে নেবে। কিন্তু মোহনবাগান খেলোয়াড়রা তা হতে দেননি। বড়ং আক্রমণের ঝড় তুলে ইস্টবেঙ্গলকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়। তৃতীয় কোয়ার্টার শেষ হওয়ার দু'মিনিট আগে মোহনবাগানকে জয়ের গোল নিয়ে এসে দেন রাজিন কানদুলনা। এরপর অন্তত তিনবার গোলের মুখ খুলে ফেলেছিল মোহনবাগান। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক বিকাশ ধাঁইয়ার দুরন্ত পারফরম্যান্স মোহনবাগানের জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন:লক্ষ্য জাতীয় খেতাব, বাংলার কবাডিতে জোটের হাওয়া
ফুটবলের পরে হকি ডার্বিতে জয় স্বাভাবিকভাবেই খেলা শেষের বাঁশি বাজতেই সমর্থকরা মাঠে ঢুকে আনন্দ করতে থাকেন। ডার্বির জয়-পরাজয় হকি লিগের পয়েন্ট টেবিলে প্রভাব ফেলবে না। চলতি মাসের 19 মার্চ ফিরতি ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান মুখোমুখি হবে। এদিকে হকি ডার্বিতে জিতেই লাল-হলুদ কর্তাদের বিঁধলেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। "ওদের ক্লাব পরিচালনায় অনেক গলদ রয়েছে। তার জন্যই সব খেলাতে ওদের এই বিপর্যয়, পরাজয়। এখন তো মনে হচ্ছে ডাঙগুলি খেললেও ওরা হারবে। খেলোয়াড়দের যেমন দলবদল হয় তেমনই ওদের ক্লাব প্রশাসনে বদল দরকার। সমস্ত পদাধিকারীদের পদেই পরিবর্তন দরকার ৷" কটাক্ষ মোহনবাগান সচিবের। এর আগে মোহনবাগান সচিবের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা। তারই পালটা হকি ডার্বি জিতে দিলেন সবুজ-মেরুন সচিব। যা নিয়ে ময়দান সরগরম।