ভুবনেশ্বর, 18 জানুয়ারি: জুয়ান ফেরান্দোর ছেড়ে যাওয়া জুতোয় পা-গলানোর পর থেকে কলকাতায় পা দেওয়ার আগে দূরভাষেই প্রস্তুতির খুঁটিনাটি ঠিক করতেন তিনি। তবে ভুবনেশ্বরে পা দেওয়ার পর কালবিলম্ব না-করে দলের প্র্যাকটিসে নেমে পড়েছিলেন। তবে রণকৌশল সাজালেও ডার্বির দিন ডাগ-আউটে কোচের হটসিটে ক্লিফোর্ড মিরান্ডাকেই এগিয়ে দিচ্ছেন আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। আইএসএল জয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ডার্বিতেও তিনি অপরাজিত। অথচ কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে সুপার কাপের ডার্বিতে হটসিট সহকারীকে ছাড়লেন সিনিয়র ৷
সুপার কাপে কোচ হিসেবে ক্লিফোর্ড মিরান্ডাকে রেজিস্টার করা হয়েছে। তাই কোনও বদল নয়। তাঁকেই দায়িত্বে রাখা হচ্ছে। ওড়িশা এফসির কোচ হিসেবে গতবছরই সুপার কাপ জয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ফলে ময়দানি সংস্কারও হয়তো রয়েছে এর পিছনে। এছাড়াও রয়েছে সুপার কাপের প্রথম থেকে ক্লিফোর্ড মিরান্ডাই দল সামলিয়েছেন। ফলে তিনি দলকে খুব ভালো করে জানেন। সবুজ মেরুন শিবির অবশ্য হাবাসের ডাগ-আউটে বসা নিয়ে চিন্তিত নন। ক্লিফোর্ড মিরান্ডাও ডাগ-আউটে স্প্যানিশ হেডস্যারের উপস্থিতি নিয়ে শব্দ খরচ করতে রাজি নন। তিনি কেবলই শুক্রবারের ডার্বিতে মনসংযোগ করতে চাইছেন।
সাংবাদিক বৈঠকে ব্র্যান্ডন হ্যামিলকে পাশে বসিয়ে গোয়ানিজ এগিয়ে রাখলেন ইস্টবেঙ্গলকেই। বললেন, "ডার্বির গুরুত্ব আমরা সবাই জানি। শুধু ডার্বির গুরুত্বই নয়। আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সেমিফাইনালের জায়গা পাকা করে নেওয়া। আমাদের লক্ষ্য দল হিসেবে খেলা। যেভাবে খেলেছি সেভাবেই খেলতে চাই।"
কলিঙ্গ সুপার কাপে শেষ দু'ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে জয় এসেছে বাগানের ৷ 9 জন প্রথম একাদশের ফুটবলার দলে নেই। জাতীয় দল ও চোটের কারণে তাঁরা বাইরে। তা সত্ত্বেও আমার দল গত দুটো ম্যাচে যেভাবে খেলেছে সেভাবেই খেলতে চাই, বলছেন ক্লিফোর্ড। ছেলেদের প্রতি ভরসা রেখে তিনি বলছেন, "কিছু সময় খেলা ভালো হয়, আবার খারাপও হয়। শেষ ম্যাচে আমরা শেষ মুহূর্তে জিতেছি। যার অর্থ ফুটবলাররা লড়াই করছে। হাল ছাড়েনি। তাদের এই লড়াকু মানসিকতাই আমাদের শক্তি। এবার ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে জিততে চাই ৷"
এদিকে ভুবনেশ্বরে ডার্বি ঘিরে উত্তাপ বাড়ছে। সমর্থকরা বহু সংখ্যায় পৌঁছচ্ছেন। ডার্বিতে বহুবছর পর প্রথমবার প্রতিপক্ষ ইস্টবেঙ্গল লড়াইয়ের জায়গায়। সুপার কাপের প্রথম দু'টো ম্যাচে মোহনবাগানের মত ইস্টবেঙ্গলও দু'টো করে ম্যাচ জিতেছে। গোল পার্থক্যে এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল। সে কথা মাথায় রেখেই মিরান্ডা বলছেন, "ইস্টবেঙ্গল এখন ভালো জায়গায় আছে। ওরা চোট আঘাত, এএফসি কাপ বা জাতীয় দলে প্লেয়ার ছাড়ার মতো সমস্যায় পড়েনি। ওদের কোচ দলকে ভালো জায়গায় রেখেছেন।"
আর কোচের পাশে বসে হ্যামিল বলেছেন, "আমরা গত দু'টো ম্যাচে জিততে পেরেছি। তবে গোল খেয়েছি শুধু ডিফেন্সের জন্যই নয়। পুরো দলের জন্য আমরা সবসময় উন্নতির জন্য দৌড়চ্ছি।" সবমিলিয়ে ডাগ-আউটে না-থেকেও হাবাসের উপস্থিতি, মিরান্ডার ফুটবল বুদ্ধি এবং ফুটবলারদের তাগিদ শুক্রের ডার্বির আগে তাতাচ্ছে সুপার জায়ান্টকে।
আরও পড়ুন:
- লক্ষ্য লাল-হলুদ 'বধ', ভুবনেশ্বরে পা দিয়েই প্র্যাকটিসে নেমে পড়লেন হাবাস
- শ্রীনিধিকে হারিয়ে গ্রুপ শীর্ষে, বড় ম্যাচ ড্র করলেই সুপার কাপের সেমিতে লাল-হলুদ