কলকাতা, 20 অগস্ট: আশঙ্কার রবিবার বাগানে। এএফসি কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে নামার আগে বিপদ রেখা কানের গোড়া দিয়ে চলে যাওয়ায় স্বস্তি নামল মোহনবাগানে। কলকাতা লিগে পরাজয়ে সুপার সিক্স কঠিন করেছে বাস্তব রায়ের প্রশিক্ষণাধীন যুব দলের। রবিবার বিকেলে ডুরান্ডের থেকেও ছিটকে যেতে পারত মেরিনার্সরা। জামশেদপুর এফসিকে 7-0 গোলের ব্যবধানে হারাতে পারলে ডুরান্ড কাপে যেতে পারবে মহামেডান স্পোর্টিং। এই অঙ্ক মাথায় নিয়ে খেলতে নেমেছিল সাদা-কালো ব্রিগেড। লক্ষ্যপূরণের ঠিক আগে থামন তারা ৷ ইস্পাতনগরীর দলকে মহামেডান হারাল 6-0 গোলে ৷
অর্থাৎ, হাফডজন গোলে জিতেও পরের রাউন্ডে যাওয়া হল না মহামেডানের। অবিশ্বাস্য ম্যাচ। ডুরান্ডের নক-আউট পর্বে আগেই পৌঁছে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ডার্বি জয়ের পর পঞ্জাব এফসি'কে হারানোয় শেষ আটের দরজা খুলে ফেলেছিল কার্লস কুয়াদ্রাতের দল। সমস্ত গ্রুপ মিলিয়ে সেরা দুই দল হিসেবে নকআউট পর্বে পৌঁছনোর সম্ভাবনা বেশি ছিল মোহনবাগান এবং নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের।
জামশেদপুর এবং মহামেডানের কাছেও সুযোগ ছিল নকআউট পর্বে ওঠার। তবে সেই জন্য বড় ব্যবধানে জিততে হত দুই দলকে। কার্যত দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থায় খেলতে নেমেছিল সাদা-কালো বাহিনী। আর সেই কারণেই প্ৰথম থেকেই আক্রমণাত্মক। রবিবার খেলা যত এগোয় ততই যেন চাপ বাড়ে মোহনবাগানের। কোয়ার্টার পৌঁছতে গেলে মহামেডানকে দ্বিতীয়ার্ধে আরও চার গোল দিতে হত। এই সময় যেন ত্রাতা হয়ে ওঠেন ডেভিড। প্রথমার্ধে একটি গোলের পর আরও তিনটি গোল করে যান 69, 81 এবং 89 মিনিটে। পুরো 90 মিনিটে একাই করলেন চার গোল। শেষ লগ্নে আরও একটা গোল করলেই মহামেডানেই ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ত। তবে সেই আশা পূরণ হয়নি মহামেডান সমর্থকদের।
তবে এমন রোমাঞ্চকর ম্যাচ বহুদিন দেখা যায়নি ডুরান্ড কাপে। ম্যাচ শেষে নিশ্চিত ভাবেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন জুয়ান ফেরান্দোর দল। ম্যাচ শেষে মহামেডান কোচ মেহেরাজউদ্দিনের গলায় শুধুই আফসোস। তবে যেভাবে ফুটবলাররা লড়াই করেছে তাতে তিনি খুশি। রবিবারের এই ম্যাচের ফলাফলের পরে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এবং নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছল। আগামী 25 তারিখ থেকে শুরু নকআউট পর্ব। নকআউটের সূচি লটারির মাধ্যমে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডুরান্ড কমিটি। ফলে ফের কলকাতা ডার্বি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন:কলকাতা লিগে অঘটন! সাদার্নের কাছে হেরে সুপার সিক্সের রাস্তা কঠিন বাগানের