কলকাতা, 22 অগস্ট: এএফসি কাপের প্রিলিমিনারি পর্বের ম্যাচে নেপালের মাচিন্দ্রা এফসিকে 3-1 গোলে হারিয়ে মঙ্গলবারের ম্য়াচে খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান। অন্যদিকে, মলদ্বীপের ক্লাব ঈগলসকে 2-1 গোলে হারিয়ে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে নেমেছিল আবাহনী। দুই বাংলার দুই ক্লাবের লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসল সবুজ-মেরুন শিবির ৷ মঙ্গলবার 3-1 গোলে আবাহনীকে উড়িয়ে এএফসি'র মূলপর্বে চলে গেল সবুজ-মেরুন।
বাগানের বিরুদ্ধে এদিন ছ'জন বিদেশিকে নামিয়েছিল বাংলাদেশের ঢাকা আবাহনী। বিদেশি ফুটবলারের কোটার সম্পূর্ণ ব্যবহার করলেন আবাহনীর পর্তুগিজের কোচ মারিও লেমস। এএফসি কাপের মঞ্চে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে থামাতে এটাই সেরা কৌশল মনে হয়েছিল। 17 মিনিটে স্টুয়ার্টের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল আবাহনী। কিন্তু পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে সমতায় ফিরতে মরিয়া মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ৷ আবাহনীর প্রতি-আক্রমণ নির্ভর ফুটবল বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। খেলার গতির বিপরীতে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট পিছিয়ে পড়েছিল।
আক্রমণের ধাক্কায় পেনাল্টি লাভ। 36 মিনিটে বক্সের মধ্যে লিস্টন কোলাসোকে ফাউল করলে পেনাল্টি দেন রেফারি। গোল করতে ভুল করেননি জেসন কামিংস। বিরতির পরে পুরোটাই সবুজ-মেরুনের। 58 মিনিটে লিস্টন কোলাসোর বাড়ানো পাস কামিংস, হুগো বুমোসকে বাড়িয়ে দেন। ফরাসি মিডফিল্ডার সাদিকুর জন্য বাড়ালে বিপন্মুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের গোলে বল পাঠান আবাহনীর মিলাদ সোলেমানি। দু'মিনিট পরে ফের গোল। এবার বাঁ-দিক থেক জেসন কামিন্সের সেন্টার অনায়াসে জালে পাঠান সাদিকু।
3-1 গোলে সহজে জয়ে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট পরের পর্বে। বাকি সময়ে গোল শোধ করতে পারেনি ঢাকা। কয়েকটি সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি কর্নেলিয়াসেরা। এবার ওড়িশা এফসি, মাজিয়া এফসি, বসুন্ধরা কিংসের চ্যালেঞ্জ জুয়ান ফেরান্দোর দলকে সামলাতে হবে। পরপর তিন বছর এএফসি কাপের মূলপর্বে চলে গেল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। এএফসি কাপে ভালো ফলের লক্ষ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি। সেই লক্ষ্যে গত দু'টো ম্যাচে অনায়াস জয় মোহনবাগানকে তৃপ্তি দেবে নিঃসন্দেহে।
আরও পড়ুন:কোপা আমেরিকার নিয়ম ডুরান্ডে, ফের বাজছে বড়ম্যাচের ডঙ্কা