কলকাতা, 3 সেপ্টেম্বর:12 অগস্টের বদলা 3 সেপ্টেম্বর ৷ ইস্টবেঙ্গলকে একমাত্র গোলে হারিয়ে দু'দশকেরও বেশি সময় বাদে ডুরান্ড কাপ জিতল মোহনবাগান ৷ দিমিত্রি পেত্রাতোসের গোলে 17তম ডুরান্ড কাপ ঢুকল বাগানের ট্রফি ক্যাবিনেটে ৷ 70 মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন সবুজ-মেরুনের অজি স্ট্রাইকার ৷ অন্যদিকে তীরে এসে তরী ডুবল ইস্টবেঙ্গলের ৷
গত ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে গোল করে নায়ক হয়েছিলেন নন্দকুমার সেকর ৷ খানিকটা একই কায়দায় গোল করে ফাইনালের নায়ক পেত্রাতোস ৷ আধঘণ্টা মোহনবাগানকে দশজনে পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ লাল-হলুদ ৷ তবে বল পজেশন কিংবা পরিসংখ্যান কথা বলছে ডুরান্ড রানার্সদের পক্ষেই ৷ তবে গোল করার লোকের অভাব অনুভূত হল প্রতিপদে ৷
71 মিনিটে প্রতি-আক্রমণে মাঝমাঠ থেকে লম্বা দৌড় শুরু করেন কামিংস। বিপক্ষ রক্ষণের স্থবিরতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুরন্ত প্লেসিংয়ে বল জালে পাঠান অজি স্ট্রাইকার। এরপর দশজনের বাগানকে আরও চেপে ধরেছিল লাল-হলুদ ৷ কিন্তু বাগানের রক্ষণের জালে আটকে গেলেন ক্লেইটন-সুহেররা ৷ সবমিলিয়ে প্রত্যাঘাত হেনে ডুরান্ড ট্রফি সবুজ-মেরুনে রাঙালেন ফেরান্দোর ছেলেরা।
পেত্রাতোসের গোলে গতবছর আইএসএল ট্রফি জিতে মরশুম যেখানে শেষ করেছিল বাগান, চলতি মরশুমটা যেন সেখান থেকেই শুরু করল গোষ্ঠ পাল সরণির ক্লাব। মরশুমের শুরুতেই ট্রফি জিততে চেয়েছিলেন কার্লেস কুয়াদ্রাতও ৷ হার না-মানা মনোভাব ফাইনালে তুললেও ফাইনালে ভাগ্য সঙ্গ দিল না দলকে। দু'দল এদিন ফাইনালের শুরুটা আহামরি করেনি। প্রথমার্ধে দু'দলের পারফরম্যান্সেই ক্লান্তির ছাপ এবং পরিকল্পনার অভাব স্পষ্ট। 43 মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের নন্দকুমারের দূরপাল্লার একটি শট এবং অনতিপরেই পেত্রাতোসের সোয়ার্ভিং একটি শট ছাড়া বলার মত কিছু নেই।
আরও পড়ুন:'হেভিওয়েট হলেই ডার্বি জেতা যায় না', বলছেন সুব্রত; বাগানকে এগিয়ে রাখছেন দীপেন্দু-নবি
দুই কোচ পরস্পরকে মেপে নেওয়ার চক্করে খেলার গুণগত মান নষ্ট হয়। বিরতির পর খেলা যে উন্নত হয়েছে, তা নয়। তবে ঘটনাবহুল। সারা ম্যাচে আটবার কার্ড বের করলেন রেফারি ক্রিস্টাল জন। দ্বিতীয়ার্ধে 61 মিনিটে অনিরুদ্ধ থাপার লাল কার্ড দেখে মাঠে বাইরে গেলে দশজনে হয়ে যায় বাগান। পেত্রাতোসের মুন্সিয়ানা শেষ পর্যন্ত হতাশা ঢেকে হাসি ফোটাল সমর্থকদের ৷ লাল কার্ড দেখলেন ইস্টবেঙ্গলের সহকারী কোচ দিমাস দেলগাডোও।