1971 সালে কলকাতায় পা রাখার কয়েকদিন পর থেকেই শুরু হয় মহম্মদ আকবরের জয়যাত্রা ৷ প্রায় প্রত্যেক মরশুমেই তাঁর নামের পাশে গোলের সংখ্যাটা 33, 32, 34 ৷ ‘গোল’ এবং ‘আকবর’, কলকাতা ময়দানে দুই হয়ে উঠেছিল সমার্থক ৷ ফুটবলবোদ্ধারা অবশ্য বলেন, হাবিব ছিলেন বলেই আকবর ‘বাদশা’ হয়েছেন ৷ কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, দাদা পাশে না-থাকলেও বিপক্ষের জালে বল জড়ানোর কাজটা কোনও জড়তা ছাড়াই করে গিয়েছেন তিনি ৷
কলকাতা ময়দানে খেলা যেকোনও খেলোয়াড়ের কাছে ডার্বি ম্যাচ একস্ট্রা স্পেশাল । দাদাদের কাছে সেই ম্যাচের গল্প শুনেই তো কলকাতায় পা রেখেছিলেন আকবর । মহামেডানে ফুটবল জীবন শুরু করলেও পরবর্তীতে খেলেছেন মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলেও । দুই প্রধানেরই বহু ম্যাচের জয়ের কান্ডারি তিনি । কিন্তু তাঁর কাছে সেরা ম্য়াচ কোনটা ? 1976 সালের ডার্বি ? যাতে মাত্র 13 সেকেন্ডে ইস্টবেঙ্গলের জালে বল জড়িয়েছিলেন তিনি । যেই রেকর্ড দীর্ঘ 45 বছর ধরে অটুট ৷ উলগানাথনের ক্রস থেকে গোল করলেও বল তৈরি করেছিলেন তাঁর দাদা, হাবিব । তাঁর গোলেই বেশ কয়েকবছর পর ডার্বি জয়ের স্বাদ পেয়েছিল সবুজ-মেরুন ।
''বেশ কয়েকবছর ধরে মোহনবাগান ডার্বি ম্যাচে জেতেনি । টানা ছ'বার কলকাতা লিগ জিতেছে ইস্টবেঙ্গল । সবচেয়ে বড় কথা আগের বছরেই 5-0 গোলে হেরেছে মোহনবাগান । সেবছর মহমেডানে থাকলেও গঙ্গাপাড়ের উত্তাপ ভালমতোই টের পেয়েছি । ফলে সবমিলিয়ে মাঠে নামার আগে প্রত্যেকে মারাত্মক চাপে ছিলাম । আমার গোলে সেই জয়ের খরা কেটেছিল । ওটা তো স্পেশাল অবশ্যই ।'' জানালেন, 76-এর ডার্বির নায়ক ৷