পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / sports

Exclusive Interview of Md Akbar : কলকাতা ডার্বিতে 13 সেকেন্ডের গোলের রহস্য ফাঁস করলেন আকবর

সাত ও আটের দশকে মহম্মদ আকবরকে বলা হত কলকাতা ময়দানের বাদশা (Md Akbar Interview) । তাঁর করা 13 সেকেন্ডের গোলের রেকর্ড দীর্ঘ 45 বছর ধরে অটুট ৷ হায়দরাবাদের বাড়িতে বসে ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি অনুভব খাসনবীশের কাছে নস্টালজিয়ায় ভাসলেন কলকাতা ময়দানের ছোটে মিঞাঁ ৷ আজ তার দ্বিতীয় কিস্তি ৷

By

Published : Mar 12, 2022, 2:34 PM IST

Akbar
মহম্মদ আকবর

1971 সালে কলকাতায় পা রাখার কয়েকদিন পর থেকেই শুরু হয় মহম্মদ আকবরের জয়যাত্রা ৷ প্রায় প্রত্যেক মরশুমেই তাঁর নামের পাশে গোলের সংখ্যাটা 33, 32, 34 ৷ ‘গোল’ এবং ‘আকবর’, কলকাতা ময়দানে দুই হয়ে উঠেছিল সমার্থক ৷ ফুটবলবোদ্ধারা অবশ্য বলেন, হাবিব ছিলেন বলেই আকবর ‘বাদশা’ হয়েছেন ৷ কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, দাদা পাশে না-থাকলেও বিপক্ষের জালে বল জড়ানোর কাজটা কোনও জড়তা ছাড়াই করে গিয়েছেন তিনি ৷

কলকাতা ময়দানে খেলা যেকোনও খেলোয়াড়ের কাছে ডার্বি ম্যাচ একস্ট্রা স্পেশাল । দাদাদের কাছে সেই ম্যাচের গল্প শুনেই তো কলকাতায় পা রেখেছিলেন আকবর । মহামেডানে ফুটবল জীবন শুরু করলেও পরবর্তীতে খেলেছেন মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলেও । দুই প্রধানেরই বহু ম্যাচের জয়ের কান্ডারি তিনি । কিন্তু তাঁর কাছে সেরা ম্য়াচ কোনটা ? 1976 সালের ডার্বি ? যাতে মাত্র 13 সেকেন্ডে ইস্টবেঙ্গলের জালে বল জড়িয়েছিলেন তিনি । যেই রেকর্ড দীর্ঘ 45 বছর ধরে অটুট ৷ উলগানাথনের ক্রস থেকে গোল করলেও বল তৈরি করেছিলেন তাঁর দাদা, হাবিব । তাঁর গোলেই বেশ কয়েকবছর পর ডার্বি জয়ের স্বাদ পেয়েছিল সবুজ-মেরুন ।

13 সেকেন্ডের সেই গোল

''বেশ কয়েকবছর ধরে মোহনবাগান ডার্বি ম্যাচে জেতেনি । টানা ছ'বার কলকাতা লিগ জিতেছে ইস্টবেঙ্গল । সবচেয়ে বড় কথা আগের বছরেই 5-0 গোলে হেরেছে মোহনবাগান । সেবছর মহমেডানে থাকলেও গঙ্গাপাড়ের উত্তাপ ভালমতোই টের পেয়েছি । ফলে সবমিলিয়ে মাঠে নামার আগে প্রত্যেকে মারাত্মক চাপে ছিলাম । আমার গোলে সেই জয়ের খরা কেটেছিল । ওটা তো স্পেশাল অবশ্যই ।'' জানালেন, 76-এর ডার্বির নায়ক ৷

আরও পড়ুন : ফুটবল মক্কায় ‘বাদশা’ হয়ে ওঠার কাহিনির প্রথম কিস্তি পড়তে এখানে ক্লিক করুন

কিন্তু 13 সেকেন্ডের গোল । তার পেছনে কোন কৌশল লুকিয়ে ? আকবরের কথায়, ''আমরা বেশ কিছুদিন ধরেই পরিকল্পনা করছিলাম যাতে খেলার শুরুতেই গোল তুলে নিতে পারি । সেদিনও একই পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নেমেছিলাম । আগের মরশুমেই প্রদীপ স্যার ইস্টবেঙ্গলে কোচিং করানোর সুবাদে জানতেন, ওদের ডিফেন্ডার পায়ে বল না লাগানো পর্যন্ত তরুণ (তরুণ বসু, লাল-হলুদের গোলকিপার) বা হাতে গ্লাভস পরে না । আমাকে বলা হয়েছিল শুরুতে বল পেলেই বা পোস্ট টার্গেট করে বল রাখতে । দাদা উল্গাকে বল বাড়াতেই ও ক্রস রাখল । বল আসছে দেখে দেরি না করে হেড করে দিয়েছিলাম । তরুণ তখনও হাতে গ্লাভস পড়ছে । শেষ পর্যন্ত এক গোলে ওই ম্যাচ আমরা জিতি ।''

সেই ম্যাচের পর যুগান্তরের প্রতিবেদন

এতবছর পরও সেই রেকর্ড অক্ষুণ্ণ থাকায় শ্লাঘা বোধ করেন আকবর ৷

ফুটবল মক্কায় ‘বাদশা’ হয়ে ওঠার কাহিনী'র তৃতীয় কিস্তি পড়তে চোখ রাখুন ইটিভি ভারতে...

ABOUT THE AUTHOR

...view details