মহম্মদ আজম, মহম্মদ নইম, ফারিদ, হাবিব, আকবর এবং জাফর ৷ ফুটবলে মাঠ মাতিয়েছেন নিজামের শহরের ছয় ভাই-ই ৷ তার মধ্যে চার ভাই কলকাতা ময়দানে খেললেও কলকাতা এখনও একডাকে চেনে আকবর-হাবিবকে (The symphony of Habib-Akbar duo was famous in Kolkata Maidan) ৷ সত্তরের দশকে বড়ে মিঞাঁ-ছোটে মিঞাঁর জাদুতে মুগ্ধ ছিল আপামর কলকাতা ৷ ফুটবলবোদ্ধারা বলেন, হাবিব ছিলেন বলেই আকবর ‘বাদশা’ হয়েছেন ৷ কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, দাদা পাশে না-থাকলেও বিপক্ষের জালে বল জড়ানোর কাজটা কোনও জড়তা ছাড়াই করে গিয়েছেন তিনি ৷ কিন্তু এর শুরুটা কীভাবে ?
‘‘আমাদের রক্তে খেলা, ছোট থেকেই দেখছি দাদারা ফুটবল খেলছে ৷ ফলে স্বাভাবিকভাবেই আমিও ফুটবলের দিকেই আকৃষ্ট হই ৷’’ বলেন আকবর ৷ কিন্তু শুধুই কি প্যাশন, ফুটবলের প্রতি প্রেম ? হায়দরাবাদের বাড়িতে বসে ময়দানের ছোটে মিঁঞা বললেন, ‘‘আমাদের সময় ভাল খেললেই চাকরি পাওয়া যেত ৷ দাদাদের দেখছি, ভাল খেলার সুবাদেই চাকরি করছে ৷ 66-তে হাবিবদা অন্ধ্রপ্রদেশের হয়ে সন্তোষ ট্রফি জিতল ৷ ইস্টবেঙ্গলের জ্যোতিষ গুহ ওকে কলকাতা যাওয়ার অফার দিল ৷ তার আগে মেজ ভাই মইন মহমেডানে খেলে এসেছে ৷ ওদের থেকে ময়দানের গল্প শুনছি ৷ ফলে আমারও টান বাড়তে লাগল ৷’’
‘‘হায়দরাবাদ, বম্বে (এখনকার মুম্বই), কেরালা ৷ দেশের বহু প্রান্তে তখন ফুটবল ভীষণ জনপ্রিয় ৷ কিন্তু সবার এক কথা, ফুটবলের মক্কা কলকাতা ৷ সেখানে না খেলা মানে খেলোয়াড় জীবন বৃথা ৷ তাই আমিও 1971 সালে মহমেডানের অফার পেয়ে আর না করিনি ৷’’ সাক্ষাৎকারের শুরুতেই নস্টালজিক কলকাতা লিগের বেতাজ বাদশা ৷ কলকাতায় পা রাখার কয়েকদিন পর থেকেই শুরু হল তাঁর জয়যাত্রা ৷ প্রায় প্রত্যেক মরশুমেই তাঁর নামের পাশে গোলের সংখ্যাটা 33, 32, 34 ৷ ‘গোল’ এবং ‘আকবর’, কলকাতা ময়দানে দুই হয়ে উঠেছিল সমার্থক ৷