নয়াদিল্লি, 19 জুন : স্ত্রীর মৃত্যুর পর বেশিদিন অপেক্ষা করলেন না তিনিও ৷ তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে সুখের সংসার ছিল মিলখা ও নির্মলের ৷ দুজন একইসঙ্গে করোনার করাল গ্রাসে পড়লেন ৷ আর যাওয়ার সময়তেও মাত্র পাঁচদিনের ব্যবধান ৷ স্ত্রী নির্মল কউরের মৃত্য়ুর পর গতকাল রাতে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন দেশের কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদ মিলখা সিং (Milkha Singh) ৷ তবে মিলখার জীবনে নির্মল একমাত্র প্রেম ছিলেন তা বলা যায় না ৷ জীবনের বেশ কিছু পর্যায়ে তিন নারীর প্রেমে পড়েছিলেন সুদর্শন মিলখা ৷ যদিও তাঁদের মধ্যে কেউই 'মিসেস মিলখা সিং'-এর মর্যাদা পাননি ৷
মিলখার কথায়, "প্রতিটি খেলোয়াড় বা অ্য়াথলিটের জীবনে প্রেম আসে ৷ প্রতিটি স্টেশনে আপনার জন্য একটি করে প্রেমকাহিনী অপেক্ষা করে ৷" তিনটি প্রেম ব্যর্থ হওয়ার পর জীবনের পথে নির্মলকে সঙ্গী করে এগিয়েছিলেন মিলখা ৷ যিনি নিজেও ক্রীড়াজগতের সঙ্গে যুক্ত ৷ দিল্লির জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছিল মিলখা-নির্মলের প্রেমকাহিনী (Milkha-Nirmal love story) ৷ পরে দুজনের চারহাত এক হয় ৷ দুজনে একসঙ্গে কাটিয়ে ফেলেছেন 59টি বছর ৷ প্রথম জীবনের সংগ্রাম, কেরিয়ারের উত্থানের মতো মিলখার প্রেমকাহিনীও সিনেমাকে হার মানায় ৷
সেদিন দেখা হয়েছিল...
শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে 1955 সালে সুন্দরী নির্মলের সঙ্গে মিলখার প্রথম দেখা ৷ দুজন একই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে কলম্বো গিয়েছিলেন ৷ নির্মল ছিলেন মহিলা বাস্কেটবল টিমের অধিনায়ক ৷ আর মিলখা ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স টিমের সদস্য ৷ কলম্বোয় এক ভারতীয় ব্যবসায়ী দুটো টিমকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ৷ সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে দুজনের প্রথম দেখা ৷ সেটা ছিল লভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট ৷ প্রথম দেখাতেই নির্মলের সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্বে ফিদা হয়ে যান মিলখা ৷ আলাপও জমিয়ে ফেলেছিলেন ৷ কাগজ না থাকায় নির্মলের হাতে হোটেলের নম্বর লিখে দিয়েছিলেন মিলখা ৷ এর ঘটনার তিন বছর পর 1958 সালে ফের তাদের দেখা হয় ৷ যদিও দুজনের প্রেমকাহিনী শুরু হয় 1960 সালে ৷ সেবার দিল্লির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে দুজনের দেখা হয় ৷ ততদিনে মিলখার নাম দেশের ক্রীড়াজগতে ছড়িয়ে পড়েছে অলিম্পিকসে অংশ নেওয়া, এশিয়ান গেমসে সোনা জেতা হয়ে গিয়েছে ৷