কলকাতা, 30 ডিসেম্বর:তারকাখচিত দল নিয়েও ইস্টবেঙ্গলের কাছে 2-0 গোলে হেরে গিয়েছিল মোহনবাগান ৷ গঙ্গাপাড়ের ক্লাবে সেদিন হতাশার সুর । খেলা হয়েছিল মোহনবাগানের মাঠেই । ফলে কার্যত শ্মশানের নিস্তব্ধতা গ্রাস করেছিল ক্লাব তাঁবুকে । মোহনবাগান সচিব ধীরেন দে'ও সমান মরমে মরেছিলেন সেদিন (Pele Played against Mohun Bagan)।
দল মাঠে নামার আগে ভেবেছিলেন, ডার্বি জিতলে উপহারস্বরূপ একটা সুখবর দেবেন । কিন্তু দলের হতাশা দেখে ফুটবলারদের চাঙ্গা করতে সেই সুখবরটিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করলেন তিনি । ঘোষণা করলেন, মোহনবাগানের আমন্ত্রণে কসমসের হয়ে কলকাতায় প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে আসছেন পেলে । কসমসের বিপক্ষে খেলবে মোহনবাগান । ওমনি উল্লাসে ফেটে পড়লেন মহম্মদ হাবিব, সুভাষ, সুব্রত, গৌতম সরকাররা । তাঁদের ফুটবল কেরিয়ারে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত কসমসের বিপক্ষে মাঠে নামা । কার্লোস আলবোর্তো, ফ্র্যাঙ্ক বেকেনবাওয়ার, জুয়ান কান্তিলিয়া, জর্জিয়ো চিনাগলিয়া এবং সর্বোপরি পেলে । 1977-এর কসমসে তখন আক্ষরিক অর্থেই চাঁদের হাট (Mohun Bagan vs Cosmos) ।
শুরু হল প্রতীক্ষায় দিন গোনা । শুরু হল ফুটবলের সম্রাটকে ঘিরে সংবাদপত্রে লেখালিখি । এই ঘোষণার ঠিক তিন মাস পর কলকাতায় খেলতে এসেছিলেন পেলে । হাতের নাগালে স্বপ্নালোকের নায়ককে পাওয়ার আনন্দ ধরে রাখতে পারেনি কলকাতাবাসী । এয়ারপোর্ট থেকে ইডেন, জনজোয়ারে ভেসেছিল কলকাতা । স্বভাবতই খেলার টিকিট বিক্রি সামলেছিল মোহনবাগান ক্লাব ।