কলকাতা, 12 অগস্ট: ডুরান্ড কাপে কলকাতা ডার্বির দিন সকালে শহরে পৌঁছলেন ইস্টবেঙ্গলের ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ক্লেইটন সিলভা ৷ সপরিবারে শনিবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নামলেন তিনি ৷ তবে, এই মুহূর্তে দুই প্রধানের নজরে ডুরান্ড কাপে দুই প্রধানের একুশতম ডার্বি ৷ এর আগে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এবং ইস্টবেঙ্গল মোট 20বার ডুরান্ডের ডার্বিতে মুখোমুখি হয়েছে ৷ ইস্টবেঙ্গল জিতেছে আটবার ৷ মোহনবাগান সাতবার ও ড্র হয়েছে পাঁচবার ৷ 2020 সালের 19 জানুয়ারির পরে মোহনবাগান এখনও পর্যন্ত কলকাতা লিগ, আইএসএল ও ডুরান্ড মিলিয়ে 8 বার ডার্বি জিতেছে ৷
পরিসংখ্যানের পাশাপাশি খাতায় কলমে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট অনেক বেশি শক্তিশালী দল, তা মেনে নিচ্ছে সকলেই ৷ শুক্রবার রাজারহাট নিউটাউনে এআইএফএফ এক্সিলেন্সের মাঠে প্র্যাকটিস করেছে ইস্টবেঙ্গল ৷ ডুরান্ড কমিটি গাড়ি পাঠাতে দেরি করায় ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা ব্যক্তিগত উদ্যোগে মাঠে পৌঁছন ৷ সিভেরিও, ক্রেসপো, বোরহা, জর্ডন এলসে মাঠে পৌঁছন টোটোয় করে ৷ বাকিরা পৌঁছন গাড়িতে ৷ আয়োজক কমিটির এই অব্যবস্থা নিয়ে চিন্তা করার চেয়ে, কার্লস কুয়াদ্রাত চিন্তিত তাঁর দলের সাফল্য নিয়ে ৷ 4-5-1 ছকে দল সাজাচ্ছেন তিনি ৷ অন্তত প্র্যাকটিসে তারই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে ৷ রক্ষণকে মজবুত করে আক্রমণে যেতে চান তিনি ৷
মূলত উইং ধরে আক্রমণ করে মোহনবাগান রক্ষণ ভাঙার ছক কষছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ ৷ দলের সকলে 90 মিনিট খেলার মতো ফিট নন ৷ এই অবস্থায় অন্তত ছয় জনকে একাদশে চাইছেন, যাঁরা 90 মিনিট খেলার জায়গায় থাকবেন ৷ ইস্টবেঙ্গলের ভারতীয় ব্রিগেডের বেশিরভাগ ফুটবলার চার সপ্তাহ ধরে অনুশীলন করছেন ৷ বিদেশিরা সপ্তাহ দু’য়েক নেমেছেন ৷ ফলে প্রিসিজন কন্ডিশনিংয়ে ফুটবলারদের ফিটনেস বড় নির্ণায়ক হতে চলেছে ৷
আরও পড়ুন:মাঠের বাইরে বাকযুদ্ধে দু'প্রধানের কর্তারা, মরশুমের প্রথম বড় ম্যাচ ঘিরে উত্তপ্ত ময়দান
মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট কোচ জুয়ান ফেরান্দো প্রাধান্যের তালিকায় এএফসি কাপের ম্যাচকে এগিয়ে রাখছেন ৷ ডার্বি জয় গুরুত্ব পেলেও আর্ন্তজাতিক মঞ্চে নিজেদের মেলে ধরাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছেন ৷ ডার্বির আগে আরেকটু সময় পেলে যে ভালো হত বলে মনে করছেন তিনি ৷ মোহনবাগান ড্রেসিংরুমে একাধিক বিকল্প ফেরান্দোর একাদশ বাছার কাজকে ‘হ্যাপি প্রবলেমে’ পরিণত করেছে ৷ দুই উইং দিয়ে লিস্টন কোলাসো এবং মনবীর পরিচিত ছন্দে দৌড়াচ্ছেন ৷