নৈহাটি, 19 অগস্ট: প্রথমার্ধের শেষ চার মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণে ভেঙে পড়ল এরিয়ানের রক্ষণ ৷ নৈহাটি স্টেডিয়ামে বিনো জর্জের ইস্টবেঙ্গল দল 2-0 গোলে রাজদীপ নন্দীর এরিয়ানকে হারাল ৷ সেই সঙ্গে 10 ম্যাচে 24 পয়েন্টে পৌঁছে সুপার সিক্স কার্যত নিশ্চিত করে ফেলল লাল-হলুদ ব্রিগেড ৷ শনিবার ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করেন জেসিন টিকে এবং আমন সিকে ৷ ইস্টবেঙ্গল বনাম এরিয়ান ম্যাচ ময়দানের ভাষায়, এক উঠোনের দুই শরিকের লড়াই ৷ যে ম্যাচের আগে ইস্টবেঙ্গল মিনি হাসপাতালে হয়ে গিয়েছিল ৷
সেই কারণে, প্রথম একাদশে একঝাঁক সিনিয়র দল থেকে ফুটবলার নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিনো জর্জ ৷ কিন্তু ম্যাচের আগে অতুল উন্নিকৃষ্ণন, গুরসিমরত সিং গিল, মহম্মদ রাকিপ, গুরনাজ সিং গ্রেওয়াল ছাড়া প্রথম একাদশের বাকি সাতজন যুব দলেরই সদস্য ছিলেন ৷ বিদেশি নির্ভরতাহীন কলকাতা লিগে এরিয়ান অন্যতম শক্তিশালী দল ৷ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ইস্টবেঙ্গল সহজেই 2-0 গোলে জয় পেল ৷
এদিন প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমেই দু’টি গোল করে লাল-হলুদ ব্রিগেড ৷ সংযুক্তি সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে জেসিন টিকে এবং পঞ্চম মিনিটে আমন সিকে গোল করেন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ৷ যদিও, তার আগে এবং প্রচুর সুযোগ নষ্ট করে ইস্টবেঙ্গল ৷ ম্যাচের শুরুতেই জেসিন টিকে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন ৷ তবে, সেই সুযোগ নষ্টের হিসেব দর্শনীয় গোলে চুকিয়ে দিলেন জেসিন টিকে ৷ ডি-বক্সের বাইরে থেকে তাঁর নিখুঁত প্লেসিং আটকাতে পারেননি এরিয়ান গোলকিপার ৷ 3 মিনিট পরে ফের গোল ইস্টবেঙ্গলের ৷ জেসিনের পাস থেকেই এবার গোল আমনের ৷
রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এ দিন খেলা দেখতে এসেছিলেন ৷ আমন সিকে'র খেলায় প্রয়াত কিংবদন্তী সুরজিৎ সেনগুপ্তর ছোঁয়া রয়েছে বলে মনে করেন তিনি ৷ তবে, ফুটবলে স্কিলই শেষ কথা নয় ৷ তা কীভাবে প্রয়োগ হচ্ছে, তার উপর সবকিছু নির্ভর করে ৷ ওখানেই বড় খেলোয়াড়ের সঙ্গে মাঝারি মানের ফুটবলারের পার্থক্য গড়ে ওঠে ৷