কলকাতা, 30 জানুয়ারি : চার দশক আগে ছাত্রাবস্থায় পা রেখেছিলেন কলকাতা ময়দানে। সঙ্গী ছিলেন মজিদ বিশকার এবং খাবাজি। ইরানিয়ান জামশিদ নাসিরির বাকিটা ইতিহাস হয়ে রয়ে গিয়েছে ময়দানের সবুজ ঘাসে। আশির দশকে কত সোনালি বিকেলে ময়দানকে মুগ্ধ করেছে মজিদ বিশকার-জামশিদ নাসিরি জুটি ৷ মজিদ নিঃশব্দে বিদায় নিলেও জামশিদ নাসিরি রয়ে গিয়েছেন তিলোত্তমাতেই। কলকাতা শহরেই জন্ম ছেলে কিয়ানের। বেড়ে ওঠাও এই শহরেই। মোহনবাগান অ্যাকাডেমিতে প্রাথমিক ফুটবল শিক্ষার পর কিবু ভিকুনার কোচিংয়ে সিনিয়র দলে সুযোগ। আই লিগে পরিবর্ত হিসেবে বেশ কিছু ম্যাচে নেমে তাগিদ বুঝিয়েছিলেন ৷ কিন্তু তিনি যে জামশিদ-পুত্র তার ছাপ শনিবার টের পেল ফুটবল-জনতা ৷
কলকাতা থেকে অনেকটাই দূরে বাবার চির প্রতিদ্বন্দ্বী দলের জার্সিতে ভারতীয় ফুটবলের নয়া জ্যোতিষ্ক হিসেবে আবির্ভাব ঘটল কিয়ান নাসিরির ৷ এটিকে-মোহনবাগানের হয়ে আবির্ভাবেই বাইচুং-চিড্ডিদের সঙ্গে একাসনে বছর একুশের কিয়ান ৷ ডার্বিতে গোলের স্মৃতি নাসিরি পরিবারে নতুন নয়। কিন্তু শনিবাসরীয় সন্ধের ছবিটা ভিন্ন। ডার্বিতে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে হ্যাটট্রিকের নজির এই প্রথম (Kiyan Nassiri made history to score hattrick as substitute in Kolkata Derby)। পিতা-পুত্রের গোলের নজিরও এই প্রথম বড় ম্যাচে ৷ ছেলের সাফল্যে বাবা গর্বিত হবেন সেটাই স্বাভাবিক ৷ কিন্তু গর্বিত সিনিয়র নাসিরি কী পরামর্শ দিচ্ছেন জুনিয়রকে ? গর্বিত জামশিদ বলেছেন, "সবে তো শুরু। এখনও অনেক পথ যেতে হবে। ভারতীয় দলের জার্সিতে খেলতে হবে। ফোকাস ঠিক রাখতে বলব ওকে (Jamshid Nassiri advises son Kiyan to keep focus on football)। সুযোগ পেলে তার সদ্ব্যবহার করো ৷ আর বলব সাফল্যে ভেসে না গিয়ে ফের শূন্য থেকে শুরু করতে ৷"