ভুবনেশ্বর, 18 জুন: ভারতীয় ফুটবলের রবি-উদয়। সাফ কাপের পরে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপেও জয়ী ভারত। ফাইনালে লেবাননের বিরুদ্ধে ম্যাচের ফল ব্লু টাইগার্সদের পক্ষে। কলিঙ্গ রাজ্যে 2-0 গোলে দেশের জয়ের নায়ক সুনীল ছেত্রী এবং লালরিনজুয়ালা ছাংতে। গোল করে ও করিয়ে ম্যাচের নায়ক ছাংতে। নিখিল পূজারি এবং ছাংতের যুগলবন্দী পূর্ণতা পেল সুনীল ছেত্রীর বল জালে পাঠানোয়। আর্ন্তজাতিক ফুটবলে 87তম গোল করলেন দেশীয় ফুটবলে পোস্টার বয়। তারপরেই স্ত্রী'র উদ্দেশ্যে উড়ন্ত চুম্বন ছুঁড়ে দিলেন। আটত্রিশ বছর বয়সেও ভারতের সেরা গোলস্কোরার তিনি।
প্রতিপক্ষ রক্ষণের চক্রব্যুহে প্রথমার্ধ আটকে থাকার পরে বিরতির পরের মিনিটেই ভারতের প্রথম গোল সুনীল করলেন ৷ তাঁর গোল-শিকারি মানসিকতায় ভর দিয়ে। 66 মিনিটে দ্বিতীয় গোল হয় ভারতের। ভারতীয় রক্ষণকে নির্ভরতা দিলেন সন্দেশ ঝিঙ্গান-আনোয়ার আলি জুটি। বর্তমান ভারতীয় দলটি অভিজ্ঞ এবং তারুণ্যের মিশ্রণ। যেখানে সুনীল ছেত্রী নামক পড়ন্ত সূর্যের তেজ রয়েছে আবার ছাংতে, পূজারি, মহেশ, রহিমের তারুণ্যের দাপটও রয়েছে। যার ফসল রবিবারের জয়।
এই নিয়ে ইগর স্টিমাচের ছেলেরা শেষ 18টি ম্যাচে 13টিতে জয় পেল ৷ প্রতিযোগিতার একটি ম্যাচে ড্র ছাড়া বাকি সবক'টিতে জয় এসেছে দাপটে। ফাইনালে লেবাননের বিরুদ্ধে লড়াইটা ছিল সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা। শেষ পাঁচটি ম্যাচে দেশের হয়ে গোল করলেন সুনীল ছেত্রী। 1977 সালে ইন্দোনেশিয়ায় প্রেসিডেন্টস কাপের পরে লেবাননের বিরুদ্ধে জয় পেল ভারত। ক্রিকেটে যখন ভারত মুখ থুবড়ে পড়েছে তখন ফুটবলে সুনীল ছেত্রীদের জয় ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে সুখানুভূতি।
আরও পড়ুন:386 রানে অলআউট অজিরা, বাজবল থিয়োরিতে প্রথম ইনিংসে 7 রানের লিড ব্রিটিশদের
প্রথম গোলটি যদি নিখিল-ছাংতে-সুনীলের ত্রিফলা হয়, দ্বিতীয়টিতে সুনীল- মহেশ- ছাংতের ত্রিমুখী দাপট। বক্সের উপর থেকে সুনীল ছেত্রীর বাড়ানো বল ধরে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা মহেশ নাওরেম সিং বাঁ-পায়ে জোরালো শট নিলে তা কোনওরকমে প্রতিহত করেন লেবানন গোলরক্ষক। ফিরতি বল জালে পাঠান অপেক্ষায় থাকা ছাংতে। প্রথমার্ধে দু'দলই রক্ষণ জমাট করে গোলের সন্ধানে নেমেছিল। কিন্তু সেই কৌশলে বাজিমাতে ব্যর্থ। এশিয়ান কাপের আগে এই জয় শুধু ভারতকে আত্মবিশ্বাসই জোগাবে না, স্বপ্নের পরিধি বাড়াতে সাহসী করবে।