বেঙ্গালুরু, 4 জুলাই: ঠিক যেন সেমিফাইনালের কার্বন কপি ৷ শেষ চারে গুরপ্রীত সিং সান্ধুর দস্তানায় আটকে গিয়েছিল লেবানন ৷ ফাইনালে তাঁর বিশ্বস্ত হাতে আটকে গেল কুয়েত ৷ সাডেন-ডেথে কুয়েতকে 5-4 ব্য়বধানে হারিয়ে নবমবারের জন্য দক্ষিণ এশিয়া সেরা হল ভারত ৷
ভাগ্য নাকি সাহসীদের সঙ্গী হয়। বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে সেই সাহসী ফুটবলে ভর দিয়েই 14 বারের মধ্যে ন'বার খেতাব মুঠোয় পুরে নিল ভারত। সেইসঙ্গে ট্রাই নেশন কাপ, ইন্টার কন্টিনেন্টাল কাপের পর সাফ জিতে জয়ের হ্যাটট্রিক করে ফেরল ইগর স্টিমাচের ভারত ৷ যদিও কার্ড সমস্যায় সুনীলদের কোচ ডাগ আউটে ছিলেন না এদিন। কিন্তু জয়ের পর ফুটবলাররাদের সঙ্গে ট্রফি জয়ের আনন্দে মশগুল হলেন ক্রোট কোচ ৷ যদিও এদিন ম্যাচের শুরুতে পিছিয়ে পড়ে ভারত ৷ তবে 14 মিনিটে পিছিয়ে পড়ে 39 মিনিটে লালিয়ানজুয়ালা ছাংতের গোলে প্রত্যাঘাত হানে 'মেন ইন ব্লু'।
পরবর্তী সময়টা যদিও ট্যাকটিক্যাল ফুটবল খেলেই বাজিমাতের চেষ্টা করে গেল ভারত এবং কুয়েত দু'দলই। তবে দুই দলের রক্ষণ এতটাই নিখুঁত যে গোলমুখ আর খোলেনি। শেষ মুহূর্তে আত্মঘাতী গোল খেয়ে প্রতিযোগিতার প্রথম সাক্ষাতে আটকে যাওয়ার হতাশা যেন পুষিয়ে নিল ভারত। মঙ্গলবার ফাইনালে বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভায় উপস্থিত ছিলেন 26 হাজার দর্শক। গোটা সময় শব্দব্রহ্মে মাতিয়ে রাখলেন তারা ৷ যদিও তাদের সেই সমর্থন 90 মিনিটে জয় এনে দিতে ব্যর্থ হল। আক্রমণ পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকলেও রক্ষণে মেহতাব হোসেনকে সঙ্গী করে কুয়েত আক্রমণের বিষ দাঁত ভাঙলেন কার্ড সমস্যা কাটিয়ে ফাইনালে মাঠে ফেরা সন্দেশ ঝিঙ্গান।।
আরও পড়ুন:মেসির পেনাল্টি আটকেই পেয়েছিলেন আত্মবিশ্বাস, মার্তিনেজের মুখে বিশ্বজয়ের গল্প শুনল মোহন জনতা
অন্যদিকে, প্রতি আক্রমণে বাজিমাত করতে চাওয়া ভারতীয় দল কুয়েত রক্ষণকে যে খুব অস্বস্তিতে ফেলেছে, তা বলা যাবে না। তবুও কুয়েতের বিরুদ্ধে নীল জার্সিধারীদের এই লড়াই প্রশংসার। বিশেষ করে মাঝমাঠে নাওরেম মহেশ সিং, জিকসন সিংদের লড়াই সত্যিই ভারতীয় ফুটবলে আগামীর ভালো বিজ্ঞাপন।