কলকাতা, 21 মে: ক্রাউড ফান্ডিংয়ের প্রাথমিক সাড়া যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য । লাল-হলুদ সমর্থকরা যেভাবে ক্লাবের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তা দেখে কর্তারা যথেষ্ট উল্লসিত । ক্লাবের পরিকাঠামো উন্নয়নে সদস্য সমর্থকদের দেওয়া অর্থ ব্যবহার হবে বলে জানিয়েছেন কর্তারা । ইতিমধ্যে পড়শি ক্লাব মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের সমর্থকরা এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করেছে । তাদের কেউ কেউ এক টাকা দান করেছে এবং টিপ্পনি জুড়ে দিয়েছে সামাজিক মাধ্যমে । ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন সহসচিব ডাঃ শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত বলছেন, "মিশ্র প্রতিক্রিয়া হবে আমরা জানতাম । পড়শি ক্লাবের সমর্থকরা কী বলছেন তা পাত্তা দিতে রাজি নই । কারণ ইস্টবেঙ্গল সদস্য সমর্থকরাই এই পদক্ষেপের কথা ক্লাবকে বলেছিল । তারপর যেভাবে ক্রাউড ফান্ডিংয়ের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাতে দুর্নীতির কোনও জায়গা নেই । ইস্টবেঙ্গল সদস্যরা এই পদক্ষেপে সাড়া দিচ্ছেন । বিদেশে এই ক্রাউড ফান্ডিং খুব পরিচিত । আমরা মনে করি এই পদক্ষেপ সময়ের চেয়ে এগিয়ে । একটা খারাপ সময় চলছে । তা কেটে যাবে । সকলে মিলে একটা চেষ্টা শুরু হয়েছে । আমরা ওভারকাম করবই ।"
নতুন মরশুমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল । নতুন কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের পরামর্শ মতোই হচ্ছে সবটা । ইতিমধ্যে তার নির্দেশেই বিনো জর্জ ইস্টবেঙ্গলের ডেপুটি কোচ হয়েছেন । চলতি মাসের শেষ দিকে কিংবা নতুন মাসের প্রথম সপ্তাহে লাল-হলুদ কোচ কলকাতায় চলে আসবেন । শোনা গিয়েছিল, স্পেনেই প্রস্তুতি শিবির করতে চেয়েছিলেন কার্লোস কুয়াদ্রাত । কিন্তু সেই দাবির সারবত্তা নেই । ইমামি ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, "বিদেশে প্রি-সিজন করার কথা বলেননি কুয়াদ্রাত । দেশেই শিবির হবে । কোথায় এই প্রি-সিজন করা যায় সেটা দেখছি । ভালো পরিকাঠামো রয়েছে এমন জায়গার খোঁজে রয়েছি আমরা । আমাদের সঙ্গে অনেকেরই কথা হয়েছে ।"