কলকাতা, 28 ডিসেম্বর: বছর শেষের আগেই খারাপ খবর ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য ৷ বাংলা ফুটবলের আরও এক একনিষ্ঠ প্রাক্তন ফুটবলার চলে গেলেন চিরঘুমের দেশে । চলে গেলেন প্রবীর মজুমদার । ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের স্বর্ণযুগের টিমের লেফট ব্যাক ছিলেন তিনি ৷ বৃহস্পতিবার ভোরে প্রয়াত হন রক্ষণের এই স্তম্ভ ৷ বয়স হয়েছিল 77 বছর। তাঁর সল্টলেকের আবাসনেই মৃত্যু হয় প্রবীরের ৷ বয়সজনিত কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ প্রবীর রেখে গেলেন স্ত্রী, একমাত্র পুত্র, পুত্রবধূ ও নাতনিকে ৷
সাতের দশক ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের স্বর্ণযুগ হিসাবে পরিচিত বাংলার ফুটবলে। ওই সময় অর্থাৎ 1972 ও 1973 সালে লেফটব্যাক হিসেবে খেলেছেন প্রবীর মজুমদার । তাঁর খেলা আজও মানুষের হৃদয়ে একই রকম উজ্বল ৷ 1972 সালে কলকাতা লিগ একটিও গোল না খেয়ে জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল । যা ছিল রেকর্ড । ওই বছরেই আইএফএ শিল্ড, বারদলুই, ডুরান্ড কাপ, রোভার্স কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় লাল হলুদ ৷ প্রথমবারের জন্য ত্রিমুকুট জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করেছিল ক্লাব ৷
1973 সালেও কলকাতা লিগ, আইএফএ শিল্ড, রোভার্স ও ডিসিএম চ্যাম্পিয়ন হয় ইস্টবেঙ্গল ৷ লাল হলুদ জার্সিতে অনেক তারার ভিড়ে প্রবীর মজুমদার ছিলেন স্বকীয় নৈপুন্যে উজ্জ্বল । রক্ষণে কড়া ট্যাকেল এবং ওভারল্যাপের জন্য প্রতিপক্ষের কাছে ছিলেন দুঃস্বপ্ন । ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পরেও ময়দানের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল । বিশেষ করে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বেশ গভীর।
1981 সালে প্রবীর মজুমদার ছিলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রশিক্ষক ৷ একজন প্রখ্যাত ফুটবলার ও প্রশিক্ষকের প্রয়াণে ময়দানে নেমে এসেছে শোকের ছায়া ৷ প্রবীর মজুমদারের প্রয়াণে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবও শোকস্তব্ধ ৷ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ ক্লাবের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে ৷ ক্লাবের পক্ষ থেকে শোকবার্তায় বলা হয়েছে, "আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার চির শান্তি কামনা করি ৷ তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাই ৷"
আরও পড়ুন:
- মাঠেই কাঁদলেন বুমোস, প্রীতমের হুঙ্কার ; ফেরান্দোর কথায় পরিবর্তনের ইঙ্গিত
- ঘরের মাঠে দুর্গ রক্ষা লাল-হলুদের, গোলশূন্য শেষ হল ওড়িশা-ইস্টবেঙ্গল লড়াই
- হারের হ্যাটট্রিকে লণ্ডভণ্ড বাগান, আইএসএল শীর্ষে প্রীতম-প্রবীরদের কেরালা