কলকাতা, 29 জুন:চন্দনহারা ময়দান । বৃহস্পতিবার ভোর রাতে 88 বছর বয়সে বেহালায় প্রয়াত হলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন অধিনায়ক চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় । দুরারোগ্য ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি । হাসপাতালে ভর্তি করেও শেষরক্ষা হয়নি। এদিন হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। রেখে গেলেন স্ত্রী এবং পুত্র-সহ পরিবারকে । তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমে আসে ময়দানে । বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মরদেহ শেষবারের জন্য ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে নিয়ে আসা হয় । অর্ধনমিত রাখা হয় লাল হলুদ পতাকা ।
ক্লাবে প্রাক্তন অধিনায়কের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানান প্রাক্তন ফুটবলার বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, শ্যাম থাপা, সমীর চৌধুরী, সুমিত বাগচী, বিকাশ পাঁজি, অলোক মুখোপাধ্যায়ের মতো প্রাক্তনরা । ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রয়াত প্রাক্তন অধিনায়ককে শ্রদ্ধা জানান শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার ।
1954 সালে মিলন সমিতির জার্সিতে ময়দানে আত্মপ্রকাশ চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়ের । পরের বছর 1955 সালে তিনি ভবানীপুর ক্লাবে সই করেন । এরপর জর্জ টেলিগ্রাফে চলে যান । সেখানে দুরন্ত ফুটবল খেলেন । বিশেষ করে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে তাঁর অসাধারণ ফুটবল নজর কাড়ে তদানীন্তন লাল-হলুদ কর্তাদের । 1963 সালে চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় সই করেন ইস্টবেঙ্গলে। 1966 সালে ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক হন তিনি । তাঁর অধিনায়কত্বে ইস্টবেঙ্গল কলকাতা লিগ এবং আইএফএ শিল্ড জয়ের কৃতিত্ব লাভ করেছিল। বাংলার হয়ে সন্তোষ ট্রফি জয়ের কৃতিত্ব রয়েছে চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এরপর চোট আর আঘাত তাঁর ফুটবল জীবন দীর্ঘায়িত হতে দেয়নি । ইস্টবেঙ্গল অন্তপ্রাণ চন্দনকে 2015 সালে 'জীবনকৃতি' সম্মানে সম্মানিত করা হয় । কর্মজীবন কাস্টমসে । তাই কাস্টমস ক্লাব ঘুরে চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মরদেহ ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে আসে এদিন।