কলকাতা, 18 নভেম্বর: ফিফা বিশ্বকাপের (FIFA World Cup 2022) দৈত্য বলে পরিচিত ব্রাজিল, ইতালি, জার্মানি, আর্জেন্তিনা, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড এবং স্পেনের মতো কয়েকটি দল ৷ কিন্তু, এই দৈত্যদের ফুটবল বিশ্বের অপেক্ষাকৃত ছোট দলগুলির কাছেও বড় ধাক্কা খেতে হয়েছে (Biggest Upsets Ever Witnessed by Football Giants) ৷ 2022 কাতার ফুটবল বিশ্বকাপের আগে সেই সব ঘটনাবহুল ম্যাচগুলি তুলে ধরা হল ইটিভি ভারতের পেজে ৷
ক্যামেরুন বনাম আর্জেন্তিনা (1-0), গ্রুপ-বি ইতালি বিশ্বকাপ (1990)
1986 সালে ফুটবলের রাজপুত্র দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনার একার কৃতিত্বে দ্বিতীয়বার বিশ্বজয় করেছিল আর্জেন্তিনা ৷ সেই মারাদোনার আর্জেন্তিনাকে অবাক করে দিয়ে 1990 এর বিশ্বকাপে গ্রুপের প্রথম ম্যাচেই 1-0 গোলে হারিয়েছিল ক্যামেরুন ৷ শুধু হার নয়, বিশ্বকাপের মঞ্চে অভিষেক করা শিশু ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল মারাদোনার আর্জেন্তিনাকে ৷ যে ম্যাচ আজও ‘মিরাক্যাল অফ মিলান’ বলে ফুটবলের ইতিহাসে বিখ্যাত ৷ ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ফ্র্যাঙ্কোইস ওমাম-বিয়িক ফ্রি-কিক থেকে ক্যামেরুনের হয়ে একমাত্র গোলটি করেছিলেন ৷ যে ম্যাচে আফ্রিকানদের পেশি শক্তির কাছে ধরাশায়ী হয়েছিলেন মারাদোনাও ৷ ম্যাচ শেষে মারাদোনা বলেছিলেন, ‘‘আমি ক্যামেরুনের একটি ছেলের থেকে লাথি খেয়েছি ৷ আরেকটু হলে সেটা আমার মাথা উড়িয়ে নিয়ে যেত ৷’’
নর্দান আয়ারল্যান্ড বনাম স্পেন (1-0) স্পেন বিশ্বকাপ (1982)
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে প্রথমবার বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করা নর্দান আয়ারল্যান্ড তিকিতাকার ছন্দ কেটে দিয়েছিল 1982 সালের গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে ৷ ভ্যালেন্সিয়ায় ঘরের মাঠে ইউরোপিয়ান ফুটবলের নবজাতকের কাছে দ্বিতীয়ার্ধে খাওয়া একটি মাত্র গোলের সুবাদে ম্যাচ হারে স্পেন ৷ গ্যারি আর্মস্ট্রং স্পেনের বক্সে হোঁচট খেতে খেতে 2 জন ডিফেন্ডার এবং গোলকিপারকে কাটিয়ে তেকাঠিতে বল জড়িয়ে ছিলেন ৷ ম্যাচের স্মৃতিচারণায় আয়ারল্যান্ডের মিডফিল্ডার টমি ক্যাসেডি বলেছিলেন, ‘‘ফাইনাল বাঁশি বাজার পর আমরা কেউ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করিনি ৷ 10 সেকেন্ডের মতো আমরা একে অপরের দিকে তাকিয়ে ছিলাম ৷’’
ওয়েস্ট জার্মানি বনাম হাঙ্গেরি (3-2) ফাইনাল, সুইৎজারল্যান্ড বিশ্বকাপ (1954)
‘মিরাক্যাল অফ বের্ন’ নামে খ্যাত 1954 সালের ওয়েস্ট জার্মানি বনাম হাঙ্গেরির এই ম্যাচ ৷ তখনও ফুটবল বিশ্বে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করেনি তৎকালীন ওয়েস্ট জার্মানি ৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধাক্কা ও নাৎসি শাসন ব্যবস্থার বেড়াজাল থেকে বেরিয়েও, আর্থিক ও সামাজিকভাবে তখনও ইউরোপের বাকি দেশগুলির সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল জার্মানরা ৷ 1954’র সুইৎজারল্যান্ড বিশ্বকাপে ফুটবল দুনিয়াকে এক নতুন যুগের সূচনার বার্তা দিয়েছিলেন ম্যাক্সিমিলিয়ান মরলকরা ৷