পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / sports

Exclusive Interview of Md Akbar : গোল না করলে রাতে ঘুম হত না, স্মৃতিচারণায় ছোটে মিয়াঁ

সত্তরের দশকে ময়দানে 'গোল' এবং 'আকবর' দুই হয়ে উঠেছিল সমার্থক (Interview of former footballer Md Akbar) ৷ এখনকার কোনও খেলোয়াড়ের মধ্যেই সেই খিদে চোখে পড়ে না ছোটে মিয়াঁর । ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি অনুভব খাসনবীশের কাছে অকপট মহম্মদ আকবর । আজ শেষ কিস্তি ।

By

Published : Mar 15, 2022, 3:00 PM IST

Exclusive Interview
স্মৃতিচারণায় ছোটে মিয়াঁ

ফুটবল জীবনের প্রত্যেক মরশুমেই ধারাবাহিকভাবে বিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছেন মহম্মদ আকবর । তিনি মাঠে থাকলেই তটস্থ থাকতেন বিপক্ষের ডিফেন্ডাররা । ফুটবলবোদ্ধারা অবশ্য বলেন, হাবিব ছিলেন বলেই আকবর ‘বাদশা’ হয়েছেন ৷ কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, দাদা পাশে না-থাকলেও বিপক্ষের জালে বল জড়ানোর কাজটা কোনও জড়তা ছাড়াই করে গিয়েছেন তিনি (Interview of Md Akbar) ৷ ফলে নির্দ্বিধায় বলা যায়, ময়দানের সুযোগসন্ধানী স্ট্রাইকারদের মধ্যে অন্যতম ছোটে মিয়াঁ ।

কিন্তু এই ধারাবাহিকতার পিছনে কোন রহস্য লুকিয়ে ছিল ? আকবর বলেন, "আমি সবসময় গোল করার জন্য মুখিয়ে থাকতাম । কোনও ম্য়াচে গোল না পেলে রাতে ঘুমাতে পারতাম না । পরদিন ভোরে উঠে একা একা মাঠে গিয়ে গোলে শট মেরেই যেতাম । অন্য খুব কম খেলোয়াড়ই ম্যাচের পরদিন প্র্যাকটিসে যেত ।"

আরও পড়ুন : ফুটবল মক্কায় ‘বাদশা’ হয়ে ওঠার কাহিনি, ইটিভি ভারতকে শোনালেন আকবর

কিন্তু এখন তো আরও অনেক বেশি সুযোগ, অনেক বেশি টাকার হাতছানি । তাও দেশে ভালমানের স্ট্রাইকারের অভাব কেন ? "দেখুন টাকা পাচ্ছে, সেটা তো ভাল কথা । কিন্তু গোলের খিদেটা হারিয়ে গেলে চলবে না । সেটা তো সেরকমভাবে দেখতেই পাই না । বাইচুং, বিজয়নের ওটা ছিল । এখন সুনীলের খানিকটা আছে । আর বাকিদের মধ্য়ে কোথায় ? ডুরান্ড, রোভার্স, কলকাতা লিগ সবই তো বন্ধের মুখে । আগে কেরল, বম্বে (পড়ুন মুম্বই) সব জায়গায় লিগ হত । এখন কোথায় হয় ? আর আইএসএলে তো বিদেশীদের নিয়েই মাতামাতি । সারা বছর খেলাটা না খেললে তো খেলোয়াড়দের সংসারই চলবে না । ফিটনেস ধরে রাখা তো দূর অস্ত", অকপট ময়দান মাতানো গোলগেটার ।

আরও পড়ুন : কলকাতা ডার্বিতে 13 সেকেন্ডের গোলের রহস্য ফাঁস করলেন আকবর

কিন্তু আইএসএলে তো অনেক বেশি টাকা, বিশ্বমানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলার সুযোগ । তাতে তো নিজেদের মান আরও বাড়ার কথা । আকবর বলেন, "টাকা, বিদেশীদের সঙ্গে খেলার সুযোগ সবই ভাল দিক । কিন্তু তার সঙ্গে সেই খেলোয়াড়কেও মাঠে নামার সুযোগ দিতে হবে । মাঠে নেমে ভাল খেললে তো কনফিডেন্স আসবে, ধারাবাহিকতা আসবে ।"

আরও পড়ুন : কসমসের জালে প্রায় বল জড়িয়ে ফেলেছিলাম, স্মৃতিচারণায় ছোটে মিয়াঁ

এআইএফএফ-এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে তো তাঁর যোগাযোগ রয়েছে । তাঁদেরও অভিযোগ জানিয়েছেন । আশ্বাসও এসেছে, প্রাক্তনদের মতামত নিয়েই ঘুরে দাঁড়াবে ভারতীয় ফুটবল । শুধু তাই নয়, আশ্বাস এসেছে দাদা হাবিবের চিকিৎসার বিষয়েও । কয়েকবছর ধরেই স্মৃতি হারিয়েছেন বড়ে মিয়াঁ । কলকাতায় খেলা সোনালি দিনের কথা ভুলে শয্যাশায়ী ভারতের প্রবাদপ্রতীম খেলোয়াড় । ফলে ফুটবল নয়, আমেরিকা নিবাসী আকবরের দেশে থাকলে এখন একটাই লক্ষ্য, দাদাকে সুস্থ করে তোলা ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details