কলকাতা, 22 জুন: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক । ভারতীয় ফুটবলারদের যে ছোট তালিকা রয়েছে তাতে নতুন সংযোজন সুনীল ছেত্রী । এর আগে পুরান বাহাদুর থাপা, আইএম বিজয়ন এবং জেজে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছেন । বেঙ্গালুরুতে নিজের চেনা পরিদেশে সাফ কাপের মঞ্চে বর্তমান ভারতীয় দলের অধিনায়কের এই পারফরম্যান্স সত্যিই অসাধারণ ।
আর্ন্তজাতিক আসরে দেশের হয়ে গোল করার নিরিখে লিওনেল মেসির চেয়ে 13 গোল পেছনে রয়েছেন সুনীল । এশিয়া মহাদেশে সর্বোচ্চ গোলদাতার দৌড়ে এখন তিনি দু'নম্বরে । সামনে ইরানের আলি দাই । অনন্য কৃতিত্বের পরে সুনীল স্বয়ং বলেন, “রেকর্ড নিয়ে অবসরের পরে ভাবা যাবে । দলের জয় সবার আগে । বৃষ্টি ভেজা মাঠে কাজটা সহজ ছিল না । টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ সবসময় কঠিন হয় । কিন্তু গোল হজম না-করে জিততে পেরে ভালো লাগছে । এটা প্রমাণ করে আমরা সঠিক পথে এগোচ্ছি ।”
পাকিস্তান ম্যাচ সবসময়ই বাড়তি আবেগের । সমর্থকরা এই ম্যাচের নায়ককে মহানায়কের মর্যাদা দিয়ে থাকেন । ফুটবলাররা অবশ্য পাকিস্তান ম্যাচকে নিয়ে বাড়তি আবেগতাড়িত নন । তাদের কাছে দেশের জার্সিতে সব ম্যাচই সমান । বেশ কয়েকবার চেষ্টার পরে ফোনে পাওয়া গেল জেজে লালপেকলুহাকে । কয়েকবারের ফোনের টুকরো টুকরো কথার নির্যাস যোগ করলে সুনীল ছেত্রীর সম্পর্কে ভূয়সী প্রশংসা একদা সতীর্থ জেজের গলায় । চোট জেজেকে অকালেই প্রাক্তনের দলে ফেলে দিয়েছে । জেজের কথায়, “সুনীল আউটস্ট্যান্ডিং । যেভাবে নব্বই মিনিট খেলার ক্ষমতা দেখাচ্ছে তা অবাক করে দিচ্ছে । বয়স ওর কাছে হার মেনেছে । রোনাল্ডো, মেসিরা তো খেলে যাচ্ছে । ফিটনেসই শেষ কথা ফুটবলে । তাহলে সুনীলের বয়স নিয়ে কথা ওঠা উচিত নয় । এখনও দলের এক নম্বর গোলগেটার । প্রথম গোলের সময় শুধুমাত্র তাড়া করে পাকিস্তানের গোলরক্ষককে চাপে ফেলল এবং ভুল করতে বাধ্য করল । আমি তো ওকে দেখে মুগ্ধ । এখন যারা ভারতীয় দলে খেলছে তাদের সবার কাছে সুনীল চলমান ইন্সপিরেসন ৷”