সাংবাদিক বৈঠকে স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন কলকাতা, 24 ফেব্রুয়ারি: “আমি আর্সেনালের সমর্থক । জীবনের শেষদিন পর্যন্ত সেই দলকেই সমর্থন করব । ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের বলব দলের বিপদে তাদের সাহায্য দরকার । ভারতীয় দলের খেলা থাকলে কি বলতে হয় মাঠে আসার কথা ?” এভাবেই ডার্বির 24 ঘণ্টা আগে অভিমান করে ম্যাচ বয়কটের ডাক দেওয়া সমর্থকদের আহ্বান জানালেন স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন (East Bengal eye to beat ATK Mohun Bagan) ।
সাংবাদিক সম্মেলনে কিরিয়াকুকে সঙ্গে করে এসেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ । ঘরের মাঠে প্রথমবার ডার্বি আয়োজনে বিষয় ভাবনায় টেক্কা দিচ্ছে লাল-হলুদ । সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতে প্রয়াত কিংবদন্ত ফুটবলার তুলসীদাস বলরাম ও প্রয়াত সাংবাদিক অভিজিত সরকারের স্মরণে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হল । যা মন ছুঁয়ে যায় ।
আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ নেই । শেষ ছয়ে পৌঁছনোর সুযোগও অতীত । এই অবস্থায় লিগের শেষ ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের মোটিভেশন আইএসএলের মঞ্চে ডার্বি জয়ের খাতা খোলা । লাল-হলুদ হেডস্যর বলছেন, 3 পয়েন্টের জন্যই মাঠে নামবেন । স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন বলেন “মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে জয় আমাদের অনুপ্রাণিত করবে অবশ্যই । প্রথম ডার্বির তুলনায় এখন আমাদের দল অনেক বেশি গোছানো । তাই ভালো কিছু করা সম্ভব । ভুলে যাবেন না, অগস্ট মাস থেকে 12 জন নতুন ফুটবলার দলে এসেছে । আরেকটা কথা বলব, এইবারের দলের প্রস্তুতি পরের মরশুমের ভিত গড়ার চেষ্টা মাত্র ।”
প্রতিপক্ষ শিবিরে যখন চোট-আঘাত সমস্যা, তখন লাল-হলুদে সকলেই ফিট । প্রতিপক্ষ সম্পর্কে মুখ খুলতে অনিচ্ছুক স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন নিজের শক্তিতে আস্থা রেখেই ডার্বির ছক সাজাতে চাইছেন । আগের পাঁচ ডার্বি যেহেতু বায়ো-বাবলের ঘেরাটোপে, বিধিনিষেধের ঘেরাটোপে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হয়েছিল সেগুলোকে প্রস্তুতি ম্যাচ হিসেবে দেখছেন । চলতি আইএসএলের প্রথম ডার্বিতে শুরুটা ভালো করেও বিরতির পরে দুই ভুলে হারতে হয়েছিল বলে মনে করিয়ে দেন । শনিবার সেই ভুল না-করার ব্যাপারে সতর্ক থাকার কথা বলছেন ।
আরও পড়ুন: ম্যাকহিউ-বুমোসকে ঘিরে প্রশ্ন, প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ডার্বিতে জয়ের লক্ষ্যে মোহনবাগান
ইতিমধ্যে পরের মরশুমেও তাঁকে দলের দায়িত্বে থাকার ব্যাপারে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে । সেটা তিনি গ্রহণ করছেন বলেই ইঙ্গিত দিলেন । চলতি আইএসএলে আপাতত 6টি জয় এসেছে । পয়েন্ট পাওয়ার দৌড়ে গত দু'বছরের তুলনায় চলতি বছর বেশি পয়েন্ট এসেছে । অন্তত 14 পয়েন্ট ছোট ভুলে হাতছাড়া হয়েছে । যা পাওয়া সম্ভব হলে হয়তো প্রথম ছয়ে জায়গা পাওয়া কঠিন হত না ইস্টবেঙ্গলের ।
“আমার লক্ষ্যপূরণে আর একটি টুর্নামেন্ট বাকি রয়েছে । এশিয়া কাপ, এলজি কাপ জিতেছি । পরের আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলকে শেষ ছয়ে পৌঁছে দিতে পারলে কোচ হিসেবে ভারতে কাজ করতে এসে নিজেকে সফল মনে করব ।” বলছিলেন ইস্টবেঙ্গলের ব্রিটিশ কোচ । তবে ভবিষ্যতের লক্ষ্য, চলতি আইএসএলের সাফল্যের পরিসংখ্যানে আত্মতুষ্ট না-হয়ে ডার্বিতে শূন্য থেকে শুরু করতে চাইছে স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন এবং তাঁর দল ।