কলকাতা, 4 সেপ্টেম্বর: হাঁটুর চোটের জন্য কয়েক মাসের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেলেন জর্ডন এলসে। রবিবার ডুরান্ড কাপ ফাইনালে 35 মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন লাল-হলুদের এই অজি ডিফেন্ডার। চোট যে গুরুতর তা আশঙ্কা করেছিলেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। কারণ চোট পাওয়া জর্ডন এলসেকে সাজঘরে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখেছিলেন স্প্যানিশ কোচ। সাতবছর আগে হাঁটুর একই জায়গায় চোট পেয়েছিলেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার ৷
এই একই ধরনের চোটে খেলোয়াড়ি জীবন শেষ হয়েছিল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের। ফলে একটা অজানা আশঙ্কায় বুক কেঁপে উঠেছিল তাঁর। আশঙ্কা যে অমূলক ছিল না, তা স্ক্যান রিপোর্ট হাতে আসার পরে সত্য প্রমাণিত। দরজায় কড়া নাড়ছে আইএসএল। তার আগে দলের একনম্বর বিদেশি ডিফেন্ডারের চোট ইস্টবেঙ্গলকে সমস্যায় ফেলে দেবে। কারণ, ট্রান্সফার উইন্ডো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উপযুক্ত পরিবর্ত পাবে না। নতুন ফুটবলার নিতে হলে জানুয়ারিতে দ্বিতীয় উইন্ডো খোলা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এই অবস্থায় নতুন ফুটবলার হিসেবে একমাত্র ফ্রি-ফুটবলার নেওয়া সম্ভব যদি চোটের কারণে জর্ডনকে ছেড়ে দেয় ইস্টবেঙ্গল। সেই সিদ্ধান্ত ভেবেচিন্তে নিতে হবে। তবে কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল গড়ার পরিকল্পনা যে বড়সড় ধাক্কা খেল, তা নিশ্চিত ৷
এদিকে ডুরান্ড ফাইনালের পরে লাল-হলুদ সমর্থকদের স্টেডিয়াম থেকে বাড়ি ফেরার সময় হেনস্তা হওয়া নিয়ে সরব হল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। সোমবার লাল-হলুদ ক্লাবের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিষয়টি বন্ধ করতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করা হল। মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। ডার্বি শেষে ফেরার পথে বিভিন্নভাবে আক্রান্ত হয়েছেন ক্লাব সমর্থকরা। কাঁদাপাড়া অঞ্চলের ঘটনা ৷ ভিডিয়ো ফুটেজ দেখিয়ে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা সাংবাদিক সম্মেলন করেন। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায় ইস্টবেঙ্গল।
বিধাননগর পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে ক্লাবের তরফে। কাঁদাপাড়া ও সংলগ্ন অঞ্চলে আক্রান্ত হয়েছেন যাঁরা, তাঁদেরকে বুধ ও বৃহস্পতিবার ক্লাবে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। তাঁদের আপদকালীন চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব ক্লাব বহন করবে। এ নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের তরফে ডার্বির আগেরদিন পুলিশকেও জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই পরম্পরা এখনও চলছে। ডার্বির পরে আক্রান্ত হন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। ইতিমধ্যে মোহনবাগান তাঁবুতে ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য মিষ্টির হাঁড়ি পাঠিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। দুই প্রধানের প্রতিদ্বন্দিতা সীমাবদ্ধ থাকুক মাঠে। বাইরে ফের সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করার কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:জর্ডনের চোটে চিন্তা, থাপার লালকার্ডকেই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট বাছলেন কুয়াদ্রাত